নড়াইলের শিক্ষক স্বপন কুমার বর্বরতার শিকার হয়েছেন: মহিলা পরিষদ

নড়াইলের শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে নিগ্রহের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে একজন শিক্ষকের এমন অপমান ন্যক্কারজনক। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বিবৃতিতে বলেন, ‘শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হওয়ার কারণে এমন অপমান ও বর্বরতার শিকার হতে হয়েছে ওই শিক্ষককে। একজন শিক্ষকের প্রতি এ অপমান পুরো জাতির জন্য অপমান। আমরা লক্ষ করছি, এ ঘটনাগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই সংখ্যালঘু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর ঘটে চলেছে। ঘটনাগুলো কুচক্রী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ঘটাচ্ছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শিক্ষকের সম্মান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণের নিরাপত্তার অধিকারের প্রতি নির্লিপ্ততা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ এ কুচক্রী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আরও উৎসাহিত করছে। নাগরিকের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের এমন ভূমিকার জন্য তাদের জাবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ ধরনের ঘটনা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।

বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘স্বাধীন দেশে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে একজন শিক্ষকের সঙ্গে এমন অপমানকর ন্যক্কারজনক ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ স্তম্ভিত, লজ্জিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের ন্যক্কারজনক ও অপেশাদার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ।’

সব সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান, সম্প্রীতি, শান্তির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল আচরণ করার এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।