পঞ্চম দফায় আরও ২২৬০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন

চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।ছবি: জুয়েল শীল

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবির থেকে পঞ্চম দফায় নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছেন আরও অন্তত ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে ছয়টি জাহাজে রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হন।

প্রথমে চারটি জাহাজে রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হন। আরও দুটি জাহাজ রওনা হওয়ার অপেক্ষায় আছে। বেলা একটার দিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা।

মোহাম্মদ সোহেল হোসেন বলেন, তিনি কুতুপালং কেন্দ্রে তিন বছর ছিলেন। তাঁর আত্মীয় ভাসানচরে আছেন। সেখানে বাসস্থান ও নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো। তাই সানন্দে সেখানে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

১৪ ফেব্রুয়ারি চারটি জাহাজে করে ২ হাজার রোহিঙ্গা ও ১৫ ফেব্রুয়ারি আরও ১ হাজার ৬০০ জন রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে নেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
ছবি: জুয়েল শীল

স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি একটি সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এমন প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাওয়া গেছে।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮ জন রোহিঙ্গাকে। এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় স্থানান্তর করা হয়েছে ৩ হাজার ২৪২ জনকে। ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।