পতেঙ্গা সৈকতের ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন সৈকত এলাকার দোকানিরা। এ সময় প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানো হয়। শনিবার অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নেন। এ সময় সৈকত এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয় কর্মসূচিতে।

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতি এবং পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটি যৌথভাবে কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম। সঞ্চালনা করেন পুনর্বাসন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করার কথা বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সৈকতের ৬ কিলোমিটার এবং সাগরপাড়ের ৩৫ একর জমি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিতে চায়। সৈকতের মালিক সিডিএ নয়। স্থানীয় দোকানি ও বাসিন্দাদের নিঃস্ব করার অধিকার সিডিএর নেই। তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুনর্বাসন করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন পতেঙ্গা বিচ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মুসা আলম প্রমুখ।

সিডিএ সূত্র জানায়, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত সাড়ে ছয় কিলোমিটারের। পর্যটনকেন্দ্রের দেড় কিলোমিটার অংশ বেসরকারি খাতে দেওয়ার জন্য দুই মাস আগে দরপত্র আহ্বান করে সিডিএ। তবে দরপত্র প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শেষ হয়নি। দেড় কিলোমিটার অংশ বিশেষ জোন হিসেবে পরিচালনা করার জন্য একজন অপারেটরকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। দেড় কিলোমিটারের মধ্যে উত্তর প্রান্তে সাড়ে ৮০০ মিটার ও দক্ষিণ প্রান্তে সাড়ে ৬০০ মিটার জায়গায় এ বিশেষ জোন হবে। সেখানে রাইডসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বাকি পাঁচ কিলোমিটার অংশ রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। পাঁচ কিলোমিটার অংশ একেবারে উন্মুক্ত থাকবে।

সিডিএর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে সিপিবি, বাসদসহ বিভিন্ন সংগঠন।