পদত্যাগের সিদ্ধান্তের সময় যেখানে ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে (সদ্য পদত্যাগকারী) গতকাল সোমবার পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ যখন দেওয়া হয় তখন তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে গতকাল সন্ধ্যায় মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশের সিদ্ধান্ত পৌঁছে দিতে বলেন। এরপর রাতে ওবায়দুল কাদের মুরাদ হাসানকে ফোনে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানান।

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম এসেছিলেন মুরাদ হাসান। এরপর তিনি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যান।

মুরাদ হাসান আজ মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র তাঁর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এখন সেটি প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান।

বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা মুরাদ হাসান গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম আসেন বলে নগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুরাদ হাসান দুপুরে চট্টগ্রাম আসেন। তবে তিনি কোনো প্রটোকলের জন্য আমাদের জানাননি। হোটেল রেডিসন ব্লুতে উঠেছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় তিনি সেখান থেকে চলে যান।’

অশালীন, শিষ্টাচার–বহির্ভূত, নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা অশ্লীল মন্তব্যকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যেই গতকাল ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন, একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

সরকার ও দলের একাধিক সূত্র বলছে, গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। মুরাদ হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে, নতুবা তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হবে—এ বার্তা পৌঁছে দিতে ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাত আটটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা মুরাদ হাসানকে পৌঁছে দেন ওবায়দুল কাদের।