দুর্নীতির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ

জাজিরা প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতু। জাজিরা, শরীয়তপুর
ছবি: সাজিদ হোসেন

পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশ হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয় রুলে। একই সঙ্গে কমিশন গঠন ও কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—৩০ দিনের মধ্যে তার অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাতে বলা হয়।

পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে সাড়ে চার বছর আগে হাইকোর্টের দেওয়া স্বতঃপ্রণোদিত রুল শুনানির জন্য গত রোববার আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন গতকাল সোমবার বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।

গতকাল আদালত প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। এর আগে আদালত রাষ্ট্রপক্ষ, দুদক কৌঁসুলিসহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন বলে জানান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন। শুনানিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুন নূর।