পদ্মা সেতুতে বসল অষ্টম স্প্যান

পদ্মার জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৫ নম্বর স্তম্ভের ওপর বসল অষ্টম স্প্যান। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৫ নম্বর স্তম্ভের ওপর বসল অষ্টম স্প্যান। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু নির্মাণে অষ্টম স্প্যান বসানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মার জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৫ নম্বর স্তম্ভের ওপর দেড় শ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি বসানো হয়।

এর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে টানা সাতটি স্প্যান বসানো হলো। ফলে মাওয়া প্রান্তের একটি স্প্যানসহ পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যান বসানো হলো আটটি।

আজ জাজিরা প্রান্তে নতুন স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে এই প্রান্তে পদ্মা সেতুর টানা ১ হাজার ৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হলো। এ ছাড়া মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর স্তম্ভে দেড় শ মিটারের আরও একটি স্প্যান আগেই বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতুর ১ হাজার ২০০ মিটার এখন দৃশ্যমান।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সেতু নির্মাণে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে স্প্যান বসানো হচ্ছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাতটি স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ছয়টি ও মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান বসানো হয়। ২৮ দিনের ব্যবধানে আজ জাজিরা প্রান্তে আরও একটি স্প্যান বসানো হলো।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর স্তম্ভে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর স্তম্ভে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর স্তম্ভের ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর স্তম্ভের ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ স্প্যান বসে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। আর গত বছরের শেষ দিকে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর স্তম্ভের ওপর একমাত্র স্প্যানটি বসানো হয়। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণের দায়িত্বে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।