পদ্মা সেতুর ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ১৯তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে সেতুর ২ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ডিসেম্বর। ছবি: ফোকাস বাংলা
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ১৯তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে সেতুর ২ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ডিসেম্বর। ছবি: ফোকাস বাংলা

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ১৯তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে সেতুর ২ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে আজ বুধবার ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটিতে ৪-সি নম্বর স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়েছে।

এর আগে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড-১ থেকে ৪-সি নম্বর স্প্যান নিয়ে ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ রওনা দেয়। আজ বেলা ১১টার কিছু সময় আগে জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটির কাছে এটি পৌঁছে। এরপর সব কাজ শেষে বেলা দেড়টায় স্থায়ীভাবে স্প্যানটি বসানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর মোট ২ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে বলে জানান সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির।

২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ১৩টি স্প্যান বসেছে। ২৮ অথবা ২৯ ডিসেম্বর ‘৩ এফ’ নম্বরের ২০তম স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ১৮ ও ১৯ নম্বর খুঁটিতে বসার কথা রয়েছে। প্রকল্পের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, ২০১৭ সালে ১টি, ২০১৮ সালে ৫টি এবং ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত ১৩টি স্প্যান বসেছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে বসছে আরও ১টি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই ১৪টি স্প্যান বসানো হচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই শুধু চারটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।

প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর আরও জানান, এ পর্যন্ত ৩৩টি স্প্যান মাওয়ায় পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে ১৯টি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি স্প্যান মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ও নয়টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় অস্থায়ী স্টক ইয়ার্ডে রাখা আছে। যা খুঁটির ওপর স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আরও চারটি স্প্যান চীন থেকে মাদার ভ্যাসেলে করে সমুদ্রপথে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ছাড়া সেতুর ৪২ খুঁটির মধ্যে ৩৫টির কাজ শেষ হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৪২টি খুঁটিতে ৪১টি স্প্যান বসবে। এই দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। দ্বিতল এই সেতুর উপরিভাগ দিয়ে চলবে গাড়ি, আর নিচ দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।