পরিবার পরিকল্পনার আশরাফুন্নে​সাকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

বাল্যবিবাহ ঠেকাতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৮৬টি কর্মশালার জন্য সরকার ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কাগজে–কলমে কর্মশালা হয়েছে, বরাদ্দের টাকাও খরচ হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অভিযোগ, বরাদ্দের বেশির ভাগ টাকাই লোপাট হয়েছে। এ অভিযোগে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক আশরাফুন্নে​সাকে।

বুধবার দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সকাল ১০টা থেকে আশরাফুন্নেসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সাড়ে চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের বেশির ভাগ প্রশ্নই আশরাফুন্নে​সা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। দুদকের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও আশরাফুন্নেসার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে।

দুদকের সচিব দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের পর দুদক অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিয়েছে। অনুসন্ধানে প্রমাণ মিললে মামলা করা হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের উপজেলা পর্যায়ে ৪৮৬টি কর্মশালা বাবদ ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

দুদকের তিন মামলা

এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বুধবার ঢাকায় দুদক তিনটি মামলা করেছে। একটি মামলার আসামি মেসার্স এম এইচ ফার্মার প্রোপ্রাইটার মোসাদ্দেক হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

দ্বিতীয় মামলার আসামি মেসার্স অভি ড্রাগের প্রোপ্রাইটার জয়নাল আবেদীন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নামে–বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫১ হাজার ২৭২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

তৃতীয় মামলার আসামি মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির প্রোপ্রাইটার আলমগীর হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ৭৩২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা তিনটি করেন।