নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ওপর বাদীর করা নারাজি আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আগামী ৯ নভেম্বর মামলার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
শুনানি শেষে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। নূর হোসেনকে দেশে ফেরত এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিল, কারা টাকার জোগান দিয়েছে তা বের করা দরকার।
মামলার বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম দাবি করেন, নূর হোসেনকে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার পুনরায় তদন্ত করা হোক। তিনি বলেন, এত দিন তাঁদের নিরাপত্তায় পুলিশ থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইয়াসিনসহ অন্য আসামিরা অব্যাহতি পাওয়ার পর এলাকায় এসে লোকজনের ওপর হামলা, মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কে এম ফজলুর রহমান বলেন, বাদীপক্ষ মামলাটির সময়ক্ষেপণ করার জন্য বারবার নারাজি আবেদন করেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডে কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজন অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।