প্রবাসী কর্মীদের পাঁচ দেশে যেতে বিশেষ ফ্লাইট শুরু শনিবার

প্রবাসী কর্মীদের জন্য পাঁচটি দেশে যেতে বিশেষ ফ্লাইট চালু করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে আগামী শনিবার থেকে বিশেষ ফ্লাইট শুরু হবে। ওই দিন থেকে দিনে বিভিন্ন উড়োজাহাজ কোম্পানির নির্ধারিত যেসব ফ্লাইট আছে, সেগুলোই বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পাবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রী পর্যায়ের এক অনলাইন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বৈঠকের পর বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে এটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার প্রথম তিন দিনে যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, ওই ফ্লাইটের প্রবাসী যাত্রীদের তালিকা তৈরি করবে প্রবাসী মন্ত্রণালয়। তারপর তাঁদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলাদা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।

বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচক চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে অন্তত ৩০ হাজার পুরোনো ও নতুন কর্মীর বিদেশে গিয়ে কাজে যোগদান অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। জনশক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

আরও পড়ুন

গত বুধবার ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বড় ধাক্কার শঙ্কা’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমানবন্দরে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিতে হবে। প্রবাসী কর্মীরা শুধু জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।

ওই সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসীকল্যাণ এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।