পাওনা টাকা চাওয়ায় আ.লীগ নেত্রী হেনস্তার শিকার

বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাইয়ের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা জাহান হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাইয়ের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই প্রায় এক মাস আগে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুলতানা জাহানের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। আজ ওই ধারের টাকা পরিশোধের কথা ছিল। সেই মোতাবেক সুলতানা জাহান পাওনা টাকার জন্য আজ বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাইয়ের সরকারি বাসভবনে যান। এ সময় হাই বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন। সুলতানা খাতুন চেয়াম্যানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেন। কিন্তু সুলতানা বাধা উপেক্ষা করলে হাইয়ের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন ক্ষুব্ধ হয়ে সুলতানা জাহানকে গালিগালাজ করেন।

একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের স্ত্রীর হুকুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান তাঁকে (সুলতানা) টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। এ সময় সুলতানার চিৎকারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় সুলতানা জাহান বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ কারণে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ বলে জানা গেছে। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত কামরুল হাসান বলেন, ‘পরিষদের চেয়ারম্যান অসুস্থ ছিলেন। তাই সুলতানাকে তাঁর কাছে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও আমাকে গালিগালাজ করেন। তাঁকে কোনো হেনস্তা বা টানাহেঁচড়া করা হয়নি।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন ও কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে করা আওয়ামী লীগ নেত্রী সুলতানা জাহানের অভিযোগটি তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।