পাতালরেলের দৃশ্যমান কাজ এ বছরই: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের মতো পাতালরেলের দৃশ্যমান কাজ এ বছরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২০৩০ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওলায় ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

কবে পাতালরেলের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এখন ফিজিবিলিটি টেস্ট চলছে, এ বছরেই দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রজেক্টের কাজও ২০২২ সালের মার্চে শেষ হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজটি পিপিপি প্রজেক্ট করছে। চায়না এক্সিম ব্যাংক এই প্রজেক্টের অর্থায়ন করছে। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল অর্থায়নের জন্য। এখন কাজ পুরোদমে চলছে। ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসের কাজও এখন দৃশ্যমান।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এই লাইনের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭০ কিলোমিটার বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার ও শেষ ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ হবে। প্রথম ধাপের কাজ আগামী জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। আর পুরো কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে।

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকার বাধা হবে না
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তিনি জামিন পাবেন। আদালত যদি নির্দেশ দেন তাঁকে জেলে রাখা হবে না, মুক্তি দেওয়া হবে। তাহলে সরকারের কোনো বাধা থাকতে পারে না। সরকার এখানে কোনো অন্তরায় নয়। এটি আদালতের ব্যাপার। সব মামলা থেকে জামিন পেলে মুক্তির বিষয়ে সরকার অন্তরায় হবে না।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু বলার জন্যই বলছে, বিরোধিতার জন্য বলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির নেতারা দলীয়ভাবে কিছু করতে না পেরে সবকিছু সরকারে ঘাড়ে চাপায়। তিনি বলেছেন, যত দোষ নন্দ ঘোষ। এটিই বিএনপির রাজনীতি। আজকে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।

সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন করে আসছে। শেখ হাসিনার সরকার এ পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রমে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। খালেদা জিয়ার মামলায়ও আলাদা কিছু হয়নি। এখানে আদালত যখন যে মামলায় জামিন দিতে চেয়েছেন, স্বাধীনভাবে জামিন দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, আজকেও যে জামিন দিয়েছেন, এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীন, সেটা আবার প্রমাণিত হলো।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার বগুড়া উপনির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, অতীতে দেখা গেছে ইভিএম যেখানে হয়েছে, সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলই সুবিধাটা বেশি পেয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলই জিতেছে। প্রযুক্তি নিয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। বগুড়ায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।