পানিতে ডুবে মৃত্যুর যে কারণ নজর এড়াচ্ছে

  • মৃগীরোগে আক্রান্ত শিশুরা পানিতে পড়ে গেলে দ্রুত খিঁচুনিসহ জ্ঞান হারানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।

  • যাদের মৃগীরোগ নেই, তাদের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম।

  • বাংলাদেশে প্রতি হাজারে নয়জন মৃগীরোগী আছে।

  • শহরের চেয়ে গ্রামে মৃগীরোগের ব্যাপ্তি বেশি।

শিশুর মধ্যে মৃগীরোগের লক্ষণ থাকলে বেশি সাবধান থাকতে হবে। রোগটি অবহেলা না করে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নিতে হবে।

কেবল গ্রামের শিশু নয়, শহরের শিশুরাও নিজেদের বাড়িতে বা বেড়াতে গিয়ে পানি ডুবে করুণ মৃত্যুর শিকার হয়। বলা হয়, এটা বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান বড় কারণ। শিশুরা পানিতে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই তার মৃত্যু হতে পারে। খুব অল্প পানিতেও শিশু মারা যেতে পারে।

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর নানা কারণ আমাদের প্রকল্পনির্ভর গবেষকেরা খুঁজে বের করেছেন। মা ও অভিভাবকদের গাফিলতি আর সাঁতার না জানাকেই মূল কারণ হিসেবে শনাক্ত করে ব্যবস্থাপত্র জারি হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে গ্রামে গ্রামে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র চালু করা, ছয় বছর বা তার চেয়ে বড় শিশুদের জন্য সাঁতার শিক্ষার ব্যবস্থার কথাও বলা হচ্ছে। তবে এসব গবেষণার বাইরে এসে গত তিন বছরের পানিতে ডোবার ঘটনাগুলো একটু খতিয়ে দেখলে অন্য একটা কারণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দুঃখজনকভাবে সেই কারণই আমাদের নজর এড়িয়ে গেছে।

মৃগীরোগের বিপদ

হঠাৎ খিঁচুনি দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝোঁক আছে এমন শিশুদের পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা একেবারেই কম নয়। খিঁচুনি বা Seizure-এর নানা ধরন থাকলেও আমাদের দেশে সাধারণভাবে এটা মৃগীরোগ নামে পরিচিত। গত তিন সপ্তাহে পানিতে ডুবে ২২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। এর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজনের খিঁচুনির ধাত বা মৃগীরোগের আসর ছিল বলে জানা যায়। এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানিতে পড়ে মৃগীরোগী ইমন হাওলাদার মারা যান। একই বছরের জুন মাসে মেহেরপুর সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের আজমল হোসেন পানিতে ডুবে মারা যান। তাঁরও মৃগীরোগ ছিল।

গবেষকেরা বলছেন, মৃগীরোগে আক্রান্ত শিশুরা পানিতে পড়ে গেলে খিঁচুনিসহ দ্রুত জ্ঞান হারানোর আশঙ্কা বেশি থাকে। আর যাদের মৃগীরোগ নেই, তাদের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির বিখ্যাত নিউরোলজিস্ট ড. লে সানডার এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত যে মৃগীরোগের উপসর্গ থাকলে শিশুদের পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তিনি ও তাঁর দল ৮৮টি পানিতে ডোবার ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, পাঁচজন ছাড়া বাকি সবাই মৃগী বা মৃগীরোগ-সংক্রান্ত কোনো না কোনো জটিলতায় ভুগছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা মেডপেজ টুডে লে সানডারের গবেষণার সূত্র ধরে জানিয়েছে, অন্যদের চেয়ে মৃগীরোগীদের পানিতে ডোবার আশঙ্কা ২০ গুণ বেশি। আবার বিশেষ ধরনের মৃগীরোগীর ক্ষেত্রে এটা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭ গুণ।

মৃগীরোগীর সংখ্যা কম নয়

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মৃগীরোগের উপসর্গ নিয়ে অনেক শিশু আমাদের পরিবারে, পাড়ায়, সমাজে অবহেলায় বেঁচে আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম বয়সের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ—সবাই মৃগীরোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগ্রহে এবং আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত একটি জরিপ চালানো হয়। এটাই ছিল মৃগীরোগীর সংখ্যা নিরূপণের প্রথম জরিপ। কাকতালীয়ভাবে এই জরিপের ফলাফলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মৃগীরোগীর তথ্য হুবহু মিলে যায়। শ্রীলঙ্কার মতো আমাদের দেশেও প্রতি হাজারে নয়জন মৃগীরোগী আছে বলে এই জরিপে জানা যায়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে মোট মৃগীরোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ২০ লাখের মতো। বলে রাখা ভালো, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মৃগীরোগীর গড় সংখ্যার ব্যাপক তারতম্য আছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক মোহাম্মদ এনায়েত হুসেন বলছেন, মৃগীরোগের ব্যাপ্তি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশি (জার্নাল অব কারেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভান্স মেডিকেল রিসার্চ, জানুয়ারি ২০১৭, সংখ্যা ৪, পৃষ্ঠা ১-২)। সেখানে প্রতি লাখে ২২৫ জন পর্যন্ত মৃগীরোগী থাকতে পারে অর্থাৎ প্রতি ১০ হাজারে ২২-২৩ জন। তাঁর বিবেচনায় শিশুদের মধ্যে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে মৃগীরোগের ব্যাপ্তি বেশি।

এর আগে ২০০৭ সালে শিশু হাসপাতালের একদল গবেষক চিকিৎসক (সেলিনা বানু, নায়লা খান, স্টুয়ার্ড বয়েড, ব্রায়ন নিভলে প্রমুখ) শিশুদের মধ্যে মৃগীরোগের ব্যাপ্তি নিয়ে একটা গবেষণা পরিচালনা করেন। ঢাকা শহরের ১৫১টি শিশুর (৯৮টি ছেলে, ৫৩টি মেয়ে) মধ্যে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায়, ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুই সাধারণ মৃগীরোগের নানা উপসর্গে আক্রান্ত। আর ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু মারাত্মকভাবে আক্রান্ত এই রোগে।

বাংলাদেশ মেডিকেল জার্নালে (জানুয়ারি, ২০১৬) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লেখকেরা নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে জানিয়েছেন, শহরের চেয়ে গ্রামে মৃগীরোগের ব্যাপ্তি বেশি।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতেও বলা যায়, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার গ্রামাঞ্চলেই বেশি। তবে শহরে যে একেবারেই কম, তা কিন্তু হলফ করে বলা যাচ্ছে না। গত ৩১ আগস্ট জামালপুরে বালতিতে ধরে রাখা পানিতে ডুবে মারা যায় একটি শিশুটি। গত এক বছরে ঢাকাসহ দেশের নানা ছোট-বড় শহরে প্রায় ৫০টি শিশু গোসলখানায় ধরে রাখা পানির পাত্রে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে। যারা মারা গেছে তাদের সবাই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে গোসলখানা দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সব শিশুই মৃগীরোগের শিকার ছিল। আবার কেউ যে ছিল না, সেটাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

অবহেলা নয়

গোসলখানায় পানির পাত্রে হঠাৎ মৃত্যু নিয়ে অনেক গবেষণা চলছে এশিয়া ও ইউরোপে। এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন জাপানের গবেষক রিসাকো নাকাগায়া ও তাঁর দল। গত বছরের ১৩ মে অনলাইনে প্রকাশিত তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, গোসলখানার জলাধার বা বাথটাবের প্রায় সব মৃত্যুর সঙ্গে মৃগীরোগ আর খিঁচুনির সরাসরি সম্পর্ক আছে। জাপান শুধু নয়, ইউরোপের নানা দেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে গোসলখানায় বাথটাব বা জলাধার ব্যবহার না করার পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমাদের দেশেও পানি ধরে রাখার পাত্রে ঢাকনার ব্যবস্থা করলে অনেক মূল্যবান জীবন রক্ষা করা সম্ভব।

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে মৃগীরোগের লক্ষণগুলো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আবার জানা থাকলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে
বিষয়টি অনেকে চেপে যায়। শিশুর খিঁচুনিসহ মৃগীরোগের অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে অভিভাবকেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা না নিয়ে গোপনে ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, মাদুলি তাবিজের ব্যবস্থা করেন।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলছেন, ‘অনেকে মনে করেন মৃগীরোগ একটা প্রাকৃতিক অভিশাপ। মৃগী একটি আসরের ব্যাপার/আলগা দোষের ব্যাপার/বাতাস লাগা/জিন-ভূতের ব্যাপার। ভাবেন এ রোগের কোনো সঠিক চিকিৎসা নেই। এই রোগীর লেখাপড়া, বিয়েশাদি, সংসার—কিছু হবে না। ফলে রোগটি গোপন করে রাখেন, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। কারণ, তাঁরা মনে করেন, রোগটি জানাজানি হলে পরিবারের জন্য ক্ষতি হবে, মেয়েটির বিয়ে দিতে অসুবিধা হবে। এ রকম ধারণার বশবর্তী হয়ে, চিকিৎসা না করিয়ে আরও ক্ষতি করা হচ্ছে।’

শিশুর মধ্যে কী কী আলামত দেখলে প্রাথমিকভাবে মৃগীরোগের আসরের সন্দেহ করা করা যায়:

এক. হঠাৎ করে কোনো শিশু চোখ-মুখ উল্টিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে আর তার সঙ্গে সারা শরীরে ঝাঁকুনি বা খিঁচুনি শুরু হলে।

দুই. কোনো শিশু যদি চোখের পলক না ফেলে হঠাৎ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে বা অন্যমনস্ক হয়ে গেলে। অনেক ক্ষেত্রে হাতে কিছু থাকলে হঠাৎ করেই পড়ে যায়। (অভিভাবকেরা অনেক সময় ভাবেন এটা শিশুর কাব্যিক ভাব। সন্তান তার কবি হয়ে উঠছে।)

তিন. আপাতদৃষ্টিতে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ এক শিশু যদি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ব্যবহার শুরু করে। মুখভঙ্গির পরিবর্তনসহ অস্বাভাবিক হাঁটাচলা করে। আবোলতাবোল কথা বলতে শুরু করে। আবার কয়েক মিনিট পর আগের মতো সুস্থ হয়ে যায়।

চার. পানি বা আগুনের কাছে গেলেই হঠাৎ খিঁচুনি ওঠে।

পাঁচ. শিশু চোখেমুখে অন্ধকার দেখার কথা বলে। চোখে আলোর ঝিলিক দেখে, তারপর আর কিছু বলতে পারে না।

এসবের কোনোটাই আমাদের উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে, মৃগী কোনো অভিশাপ নয় বা দৈব কোনো রোগ নয়। মৃগীরোগ মস্তিষ্কের একটি অসুখ, যা মাথায় কিছু নিউরোট্রান্সমিটারের তারতম্যের কারণে হয়। কোলের শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের শিশু এমনকি বয়স্ক মানুষেরও এটা হতে পারে।

দরকার সচেতনতা

শিশু মৃগীরোগে আক্রান্ত হলে বা রোগের কোনো লক্ষণ দেখা গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসক দেখানো উচিত এবং তাঁর দেওয়া পরামর্শমতো চলা উচিত। এ ধরনের শিশুদের পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার আশঙ্কা অন্য সব শিশুর থেকে বেশি। তাই এসব শিশুকে পানি বা জলাশয়ের কাছে কোনো অবস্থাতেই যেতে দেওয়া ঠিক নয়। এ ছাড়া নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখা উচিত।

হঠাৎ কোনো শিশু অজ্ঞান হয়ে, চোখ-মুখ উল্টিয়ে গেলে বা খিঁচুনি শুরু হলে তাকে স্বাভাবিক করার জন্য তার নাকের সামনে চামড়ার জুতা, গরুর হাড়, লোহার শিক ইত্যাদি চেপে ধরা উচিত নয়। এগুলো নিতান্তই কুসংস্কার। এগুলো আক্রান্ত শিশুর ক্ষতিই করে। সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতি আধা মিনিট বা ১ মিনিট থাকে। মৃগী হঠাৎ শুরু হয়ে আবার এমনিতেই থেমে যায়। কাজেই অস্থির হয়ে শিশুর হাত-পা চেপে ধরা, মাথায় পানি দেওয়া বা জোর করে মুখে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করার দরকার নেই। জ্ঞান ফিরলে, খিঁচুনি বন্ধ হলে শিশু সাধারণত ঘুমিয়ে পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথাব্যথা হয়। যদি দেখা যায়, ৫-১০ মিনিটেও মৃগী থামছে না বা পরপর, ঘন ঘন আক্রান্ত হচ্ছে, তবে রোগীকে কাছের হাসপাতালে বা ক্লিনিকে নেওয়া জরুরি।

পানিতে নামতে না দেওয়া ছাড়াও এ ধরনের শিশুদের গাছে চড়তে দেওয়া ঠিক নয়। যেসব শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছে, তাদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার সময় ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত কিশোরীদের মধ্যে মাসিকের সময় খিঁচুনির প্রবণতা বেড়ে যায়। চিকিৎসকের পরিভাষায় এটাকে বলা হয় কেটামেনিয়াল সিজার। এ সময় অভিভাবক ও শিক্ষকদের একটু বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

বাড়ির অভিভাবকদের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকদের এ ধরনের শিশুদের সঙ্গে বৈষম্য বা ভেদাভেদমূলক আচরণ না করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে তাঁদের করণীয় হবে:

১. মৃগীরোগের লক্ষণ সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেওয়া, যাতে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিশুর সমস্যা হলে ত্বরিত গতিতে সেটা তাঁরা বুঝতে পারেন।

২. স্কুলের কাছাকাছি হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রের সুযোগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা। যাতে প্রয়োজনে কোনো হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে পাঠানো যায়।

৩. আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খাওয়ার গুরুত্ব বুঝিয়ে বলা এবং খোঁজখবর রাখা।

৪. সব ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে মৃগীরোগের সামাজিক কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা করা, যাতে বিষয়টিকে সহজভাবে নিতে শেখে।

পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের মৃত্যুহার কমাতে গেলে মৃগীরোগ এবং এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে আমাদের আরও গবেষণা ও সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে। রোগ গোপন না করে যথাযথ চিকিৎসা আর পানি থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখক গবেষক [email protected]