পানিতে ডুবে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

ময়মনসিংহের ফুলপুর ও কুমিল্লার হোমনায় পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফুলপুরে নিহত ব্যক্তিরা হলেন দেবোত্তর বেরুয়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে তামিম (৮) ও কুড়িপাড়া গ্রামের এমদাদুল হক (৩৫)। হোমনায় নিহত শিশুর নাম মো. আবদুল্লাহ (৪)।

ফুলপুর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় পুকুরে গোসল করতে নেমে তামিম মারা যায়। অপর ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রূপসী বাজার ঘাট দিয়ে খড়িয়া নদী পার হওয়ার সময় নৌকাডুবিতে এমদাদুল নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে নদী থেকে এমদাদুলের লাশ উদ্ধার করে।

পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম।

এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় হোমনার ঘারমোড়া ইউনিয়নের ফতেরকান্দি গ্রামে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নিহত আবদুল্লাহ ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত শিশুর পরিবার জানায়, শনিবার বিকেলে আবদুল্লাহ আরও কয়েকটি শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলছিল। সন্ধ্যা হওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের মধুকুপি নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।

তামান্নার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব গ্রামে। বাবা রফিকুল ইসলাম ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জ শাখার বিক্রয় কর্মকর্তা। তামান্না নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত তামান্নার পরিবারের সদস্যরা বলেন, ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমবয়সী কয়েকজনকে নিয়ে সে বাড়ির কাছের একটি বিলের পানিতে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে দুটি শিশুকে পানিতে তলিয়ে যেতে দেখে তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসে তামান্না। একপর্যায়ে সে নিজেই পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন শিশু দুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও তামান্নাকে বাঁচাতে পারেনি।

নিহত তামান্নার মামি মাহমুদা বেগম বলেন, তামান্না পড়াশোনায় ভালো ছিল। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল সে।