সোনালি হয়ে উঠছে জুমের ধান। তাই ধান সংগ্রহের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন জুমচাষিরা। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নানা আকারের বাঁশের ঝুড়ি কিনছেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি বাজারে দেখা যায়, জুমের ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষণে ব্যবহৃত বাঁশের ঝুড়ির বিক্রি বেড়েছে।
খাগড়াছড়ি সদরের চার মাইল এলাকার মধুবালা ত্রিপুরা (৪৫) একটি মাঝারি আকারের ঝুড়ি কিনেছেন। তিনি জানান, কিছুদিন পরেই উঠবে জুমের ধান। তাই ধান তোলার প্রস্তুতি হিসেবে তিনি ঝুড়িটি কিনেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার দেবতা পুকুর এলাকার বাসিন্দা মধুময় ত্রিপুরা (৬০) জানান, তিনি বাঁশের নানা ধরনের ঝুড়ি তৈরি করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তিনি বলেন, এই সময় জুম থেকে ধান সংগ্রহের ঝুড়ির (চাকমা ভাষায় কাল্যং, ত্রিপুরা ভাষায় কাবাং ও মারমা ভাষায় পরইং) চাহিদা বেশি থাকে। তাই তিনি এ ধরনের ১২টি ঝুড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে এনেছেন।
মধুময় ত্রিপুরা জানান, ২৫-৩০ কেজি ধান বহন করা যাবে, এমন একটি সাধারণ ঝুড়ি বিক্রি হয় ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। নকশাযুক্ত ঝুড়ির দাম আরও বেশি।
খাগড়াছড়ি সদরের তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দা নন্দলাল চাকমা (৬৫) বলেন, অনেক জুমচাষি নকশা করা ঝুড়ি ব্যবহার করে থাকেন। নকশা করা ঝুড়ির দাম একটু বেশি। এসব ঝুড়ি মজবুতও হয়।