পুকুরের পানিই ভরসা

কয়রা উপজেলা খুলনা জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। এ উপজেলার পূর্বে শাকবাড়িয়া নদীর ওপারে সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগর থেকে উৎসারিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কা যেমন সুন্দরবন মাথা পেতে নেয়, তেমনি মাথা পেতে নেয় এ উপজেলার মানুষেরাও। তারা বিপর্যস্ত হয়, আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তবে এখানে সবচেয়ে বেশি সংকট সুপেয় পানির। আবার এই সংকট সবচেয়ে বেশি মোকাবিলা করতে হয় কয়রা সদর ইউনিয়নের কয়রা গ্রামের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। এখানে গভীর নলকূপেও ওঠে নোনাপানি। ফলে পুকুরের পানিই এখানকার মানুষের রোজকার ভরসা। বর্ষায় এই সংকট কিছুটা লাঘব হলেও শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় বিপরীত দৃশ্য। ছবিগুলো কয়রা গ্রামের ৫ ও ৬ ওয়ার্ড থেকে গত ১৭ মার্চ তুলেছেন সাদ্দাম হোসেন।

১ / ১০
সাধারণত নারীরা দল বেঁধে পুকুরের পানি সংগ্রহ করে থাকেন
২ / ১০
মাঠ ফেটে চৌচির। এমন পথ ধরে পানি আনতে হয় কয়রা গ্রামের নারীদের
৩ / ১০
বাড়িতে পানি পৌঁছাতে বয়োজ্যেষ্ঠদের সাহায্য করতে হয় শিশুদেরও
৪ / ১০
ভ্যান ভাড়া করে পানি নিচ্ছে একটি পরিবার
৫ / ১০
পরিশোধন ছাড়াই রান্নার জন্য পানি নিচ্ছেন অনেকে
৬ / ১০
ফিল্টার ট্যাংক থেকে পানি নিতে অপেক্ষা করতে হয়
৭ / ১০
পুকুর থেকে পরিশোধনের জন্য পানি ফেলতে হয় এমন চৌবাচ্চায়, যা ফিল্টার ট্যাংক নামে পরিচিত
৮ / ১০
অনেককে মাঠ-ঘাট পেরিয়ে সুপেয় পানি আনতে যেতে হয় প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে
৯ / ১০
চৈত্রের শুরুতেই জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে, মাটি ফেটে যাচ্ছে
১০ / ১০
পুকুর থেকে পরিশোধন করতে নিজেদেরই নলকূপ চেপে পানি ফেলতে হয় ফিল্টার ট্যাংকে