কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বাহার উদ্দিন (৬৫) নামের এক রিকশাচালককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পুত্রবধূর বড় ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত সোমবার কিশোরগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম হামিদুল ইসলাম ওই জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
এদিকে পুলিশ শনিবার আবু বক্কর ছিদ্দিককে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত বাহার উদ্দিন উপজেলাটির দীঘিরপাড় ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের বাসিন্দা। আবু বক্কর ছিদ্দিকের বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মৃত্যুঞ্জয় দে বলেন, দুই বছর আগে বাহারের ছেলে আজিজুল ইসলামের সঙ্গে আবু বক্করের বোন সুকেনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে বাহারের হাতে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর বোন ও ভগ্নিপতিকে ঘর থেকে বের করে দেন বাহার। এরপর থেকে বোন-ভগ্নিপতি তাঁদের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি বাহারের কাছে যৌতুকের টাকা ফেরত চান। কিন্তু বাহার তা দিচ্ছিলেন না। এই নিয়ে সে সময় থেকে বাহারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন রেখা।
ভয়ে বাহার পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে মেয়ে আজমিনা বেগমের স্বামীর বাড়িতে চলে যান। শ্বশুরবাড়িতে মেয়ে থাকতে না পারায় এবং যৌতুকের টাকা ফেরত না দেওয়ার ক্ষোভ থেকে বাহারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রেখা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে মাসুদ জহুরুল ইসলাম মেডিকেল এলাকা থেকে বাহারকে ডেকে নোয়াহাটা গ্রামে নিয়ে যান। এরপর বাহারকে দুবার ছুরিকাঘাত করেন আবু বক্কর ও মাসুদ। এরপর জিতু চাপাতি দিয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন।