পুরোনো কবরস্থান, মসজিদ রক্ষা করে মহাসড়ক প্রশস্তের দাবি

পুরোনো কবরস্থান, মসজিদ, প্রত্নতত্ত্ব ও বাড়িঘর রক্ষা করে ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে।প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বাড়িউড়ায় ৩০০ বছরের পুরোনো কবরস্থান, ৪০ বছরের পুরোনো মসজিদ, প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ হাতিরপুল ও বাড়িঘর রক্ষা করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত করার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি করা হয়। এর আগে একই দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে বাড়িউড়া গ্রামবাসীর পক্ষে হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, বাড়িউড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ৩০০ বছরের পুরোনো কবরস্থান রয়েছে। এখানে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর ও মৈন্দ এবং সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, বাড়িউড়া ও ইসলামাবাদ গ্রামের মানুষ মারা গেলে সমাহিত করা হয়। মহাসড়কের পাশে বাড়িউড়া এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতত্ত্ব হাতিরপুল। এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে রয়েছে। প্রতিদিন এ জেলা ও এর পাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এটি দেখতে আসেন। একই এলাকায় প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো বাড়িউড়া মসজিদ রয়েছে।

মহাসড়কটির পাশে জাঙ্গালহাটি ও নোয়াহাটি নামে দুটি ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। এ দুটি গ্রামে ৯০০ পরিবারের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বাস করে। এসব পরিবারের অল্প জায়গা রয়েছে। যদি এসব জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে, তাহলে দুই গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, মহাসড়কটির পাশে জাঙ্গালহাটি ও নোয়াহাটি নামে দুটি ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। এ দুটি গ্রামে ৯০০ পরিবারের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বাস করে। এসব পরিবারের অল্প জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার বাজারমূল্য থেকে সরকারি মূল্য অনেক কম। যদি এসব জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে, তাহলে দুই গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার জনস্বার্থেই মহাসড়ক প্রশস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে সরকার যদি দক্ষিণ পাশে মহাসড়ক প্রশস্ত করে, তাহলে ৩০০ বছরের পুরোনো কবরস্থান, হাতিরপুল, ৪০ বছরের পুরোনো মসজিদ ও দুটি গ্রামের মানুষের বসতভিটা রক্ষা পাবে। এতে মহাসড়ক প্রশস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থও সাশ্রয় হবে।

লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এসব স্থাপনা রক্ষা করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। সরকার আমাদের আবেদন বিবেচনা করে মহাসড়কটি প্রশস্ত করবে বলে প্রত্যাশা করি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাড়িউড়া এলাকার বাসিন্দা পরিবহন ব্যবসায়ী হাসান মিয়া, চিকিৎসক মো. সাদেক, জসিম উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুস, আল আমিন, আবুল কাসেম মুন্সি, বজলুর রহমান প্রমুখ।