পুরোনোরাই নির্বাচিত হলেন

রংপুরের ছয়টি আসনে আগের ছয় প্রার্থীই পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগের ও দুজন জাতীয় পার্টির। এসব আসনে গড়ে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে ভোট পড়েছে ৮৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। মসিউর রহমান রাঙ্গা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯১৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শাহ রহমতুল্লাহ ১৯ হাজার ৪৯৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী সি এম সাদিক ৩ হাজার ৬৩৭, এনপিপির ইশা মোহাম্মদ ৫১২, ইসলামী আন্দোলের মোক্তার হোসেন ৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়েছেন।

রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন। তিনি এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৮ ও তাঁর নিকটতম প্রাথী বিএনপির মোহাম্মদ আলী সরকার ৫৩ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মণ্ডল ১৫ হাজার ৫৭৭, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী ৯ হাজার ১৮৫, জাকের পার্টির আশরাফ উজ জামান ৩ হাজার ২৯৫, এনপিপির ওয়াসিম আহমেদ ১৬৩, বিএনএফের জিল্লুর রহমান ১১৫, বিকল্পধারার হারুন আর রশিদ ১৯৭ ও জাসদের কুমারেশ চন্দ্র রায় ১৯ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়েছেন।

রংপুর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মহাজোটের প্রার্থী এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জিতেছিলেন। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো জিতে তিনি হ্যাটট্রিক করলেন। এবার তিনি ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রিটা রহমান ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট পেয়েছেন।

রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জিতেছিলেন। এবারের নিয়ে তিনি টানা তিনবার জিতে হ্যাটট্রিক করলেন। এবার টিপু মুনশি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৭৩ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এমদাদুল হক ভরসা ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়েছেন।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ এন আশিকুর রহমান জয়ী হয়েছেন। এবার নিয়ে তিনি টানা তিনবার জিতে হ্যাটট্রিক করলেন। এবার তিনি ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৮, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শাহ মো. সোলায়মান আলম ৬৪ হাজার ১৪৭, জাতীয় পার্টির এস এম ফখর–উজ–জামান ১২ হাজার ৫০৯, বাসদের মমিনুল ইসলাম ৭৫২, ইসলামী আন্দোলনের শফিউল আলম ভোলা মণ্ডল ৩ হাজার ৩, জাকের পার্টির শামীম মিয়া ২ হাজার ৮৫ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৪ ভোটার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১২৬ ভোটার ভোট দিয়েছেন।