পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

পুলিশ লোগো
টুইটার থেকে

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ নামে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন আইনজীবীরা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চে আজ রোববার ১০২ জন আইনজীবীর পক্ষে এ আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

কমিশনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে রিটে অনুরোধ করা হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত পুলিশের ৫৮৯টি অপরাধের ঘটনাও এ আবেদনে সংযুক্ত করা হয়।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনজীবীরা প্রকাশিত ওই সব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, পুলিশের একটি অংশ বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিজেদের হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, খুন, ধর্ষণ, ইভ টিজিং, নারী নির্যাতন, ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজি, মামলা নিতে গড়িমসি, মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ, মিথ্যা ও পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি, তদন্তে গাফিলতি, সাংবাদিক নির্যাতনসহ মোট ১৮ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

রিটে পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ছয়টি মামলার কপিও সংযুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব মামলা ঘেঁটে দেখা যায়, সব কটি মামলা থেকেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বা আপসের মাধ্যমে অব্যাহতি পেয়েছেন।

২০০৭ সালে পুলিশ অধ্যাদেশ খসড়া আইনে পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন গঠনের কথা থাকলেও তা এখনো আইনে পরিণত হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত হলো বিচারের প্রাথমিক ধাপ। ন্যায়বিচারের জন্য প্রধান শর্ত, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত। সংবিধানের ৩৫ (৩) ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরই ন্যস্ত। ফলে তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই পুলিশের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন রিটকারী আইনজীবীরা।