প্রকাশক দীপন হত্যার রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

ফয়সল আরেফিন দীপন

জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার রায় দেওয়া হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। আজ রোববার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই দিন ঠিক করেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম সারোয়ার খান।

পিপি গোলাম সারোয়ার খান বলেন, আজ এই মামলার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়েছে।


২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ কার্যালয়ে খুন হন প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন। সেদিন দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে রেখে দরজা বন্ধ করে চলে যায়।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২৩ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পলাতক আছেন দুই আসামি। তাঁরা হলেন, জঙ্গিনেতা চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।

২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। আর ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া ও আকরাম ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও মো. আবদুস সবুর ওরফে সামাদ। আসামিরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা বা সদস্য। এর মধ্যে ‘মেজর জিয়া’ এই গোপন সংগঠনের কথিত সামরিক শাখার প্রধান।