প্রণোদনার আশায় ফাঁদে পড়া ৫ দিনমজুরের জামিন বহাল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটার পাঁচ দিনমজুরের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় পাঁচ দিনমজুরের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে ৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাঁদের এক বছরের জামিন দেন।

পাঁচ দিনমজুর হলেন ফুলমণি রানী, কমল চন্দ্র রায়, প্রভাস চন্দ্র, রণজিৎ কুমার ও নিখিল চন্দ্র বর্মণ।

জামিনের এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। পাঁচ দিনমজুরের পক্ষে বিনা ফিতে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

পরে আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। চেম্বার আদালত নো অর্ডার দিয়েছেন। এতে পাঁচজনের জামিন বহাল রইল। এর ফলে কাশিমপুর কারাগারে থাকা পাঁচ দিনমজুরের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। শিগগির তাঁরা মুক্তি পাবেন।’

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, করোনার প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে কয়েকজনের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এই ব্যাংক হিসাব খুলে ফাঁদে পড়েন ওই পাঁচ দিনমজুর। তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রামে।

প্রণোদনার নামে প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে দিনমজুর কারাগারে—গণমাধ্যমে আসা এমন প্রতিবেদন যুক্ত করে চলতি মাসের শুরুতে হাইকোর্টে পাঁচজনের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। এ মামলায় এর আগে নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হন তাঁরা।

অবৈধ বিল ও অ্যাডভাইস দাখিলের মাধ্যমে জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গত ১ জুলাই ৯ জনের নামে মামলাটি হয়। সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর থানা হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন।