প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে যুক্ত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নয়

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বাণিজ্যে বিভ্রান্তিকর, প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন ও অন্যায্য প্রতিযোগিতায় যুক্ত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এটিসহ কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর, প্রতারণামূলক ও সংশয় উদ্রেককারী বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রকাশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম ১০ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে কামরুল ইসলাম ও রবিউল আলম শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

পরে আইনজীবী কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো কোম্পানির পণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র মাধ্যম বিজ্ঞাপন। অথচ দেখা যাচ্ছে নিজেদের পণ্যসামগ্রীর বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে সেরা ব্র্যান্ড। এতে তার প্রতিযোগী পণ্যের ব্র্যান্ডকে পরোক্ষভাবে দ্বিতীয়-তৃতীয় বা খারাপ বলা হলো। আবার বিভিন্ন পণ্যের মূল্য ছাড় বা একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি—এমন বিজ্ঞাপনেও আছে। এসব বাজারে একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে, যাতে ভোক্তা-ক্রেতা বিভ্রান্ত ও প্রতারিত হন। বাজারে এই অস্থিরতা দেখার দায়িত্ব জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের। এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।’

বাণিজ্যে বিভ্রান্তিকর, প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন ও অন্যায্য প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্যসচিব, বাণিজ্যসচিব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।