প্রতিবেদনে প্রকাশিত বক্তব্যের প্রতিবাদ, প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রথম আলো অনলাইনে গত ১১ অক্টোবর প্রকাশিত ‘সাজা মৃত্যুদণ্ড হলে ধর্ষণ কমবে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের যে উদ্ধৃতি ছাপা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। বজলুর রশিদ ফিরোজকে উদ্ধৃত করে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আসলে জনগণ চায় ধর্ষণকারীর এমন সাজা যেন কেউ আর এ ধরনের অপরাধে না জড়ায় ... যদি প্রকাশ্যে দু’একবারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় তাহলে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হবে, কেউ আর ধর্ষণে জড়াবে না। ...’

প্রতিবাদের বজলুর রশীদ বলেছেন, তাঁর বক্তব্য খণ্ডিত ও ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বক্তব্য ঠিকভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, তারা মনে করেন কেবলমাত্র শাস্তি দিয়ে কোনো অপরাধ দূর করা এবং অপরাধী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। সামাজিক প্রতিরোধ ও অপরাধীর শাস্তি দুটোই প্রয়োজন। অনেক কিছুরই কঠোর শাস্তির বিধানসহ আইন থাকা সত্ত্বেও ওই সব অপরাধ বন্ধ হয়নি। শুধু আইন ও কঠোর শাস্তি থাকলেই হবে না, তার যথাযথ বাস্তবায়ন চাই।

এ জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “আমরা বলেছি ভারতসহ অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে, অনেক দেশে প্রকাশ্যে গুলি করেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় আইনজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, নারী নেতৃত্ব, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সমাজের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করুক কি হবে শাস্তি। মূল কথা হলো ধর্ষণের মূল কারণ দূর করা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, আর্থসামাজিক ব্যবস্থা পরিবর্তন সাধন করা।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য: বজলুর রশিদ ফিরোজের সঙ্গে কথোপকথনের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদে তাঁর বক্তব্য ছাপা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের দাবি কেন তোলা হচ্ছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি যে জবাব দিয়েছেন, সেখান থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ তুলে ধরা হয়েছিল।