প্রতিবেশীদের সঙ্গে আরও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ

ক্যাপশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে রীভা গাঙ্গুলি দাশ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গণভবন, ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর
ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও ভালো সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক নীতি—সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সব সময়ই মনে করি, এ অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সবার আগে আরও ভালো সহযোগিতার প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ রোববার সকালে গণভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যাও আলোচনায় উঠে আসে।
এ প্রসঙ্গে রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, এই জীবনঘাতী ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই একসঙ্গে কাজ করছে। এই মহামারির বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন তিনি। হাইকমিশনার কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বস্তরের এবং শ্রেণি–পেশার জনগণ এই সংকট মোকাবিলায় একযোগে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা অনেক অনুষ্ঠানই উদযাপন করতে পারিনি।’

হাইকমিশনার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। যেখানে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারতের হাইকমিশনারও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভকামনা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনা তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রীভা গাঙ্গুলিকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারতের জনগণ ও দেশটির সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অভূতপূর্ব সমর্থন জানিয়েছিল। একইভাবে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তিকেও সমর্থন জানিয়েছিল।
আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করবেন বলে শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।