প্রথম আলোর প্রতি পাঠকের ভালোবাসা

প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে এভাবে নিজের বাইসাইকেল সাজিয়েছিলেন নবাব আলিবর্দী
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকাসহ সারা দেশে প্রথম আলোর কর্মীরা সংবাদপত্রটির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেন বৃহস্পতিবার, পরদিন ব্যতিক্রমী এক আয়োজনে এই সংবাদমাধ্যমের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটালেন একজন পাঠক। নবাব আলিবর্দী নামের এই পাঠক রাজধানীর উত্তরার একটি বায়িং হাউসে মার্কেটিংয়ের কাজ করেন। প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি নিয়মিত প্রথম আলো পড়েন।

প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ককশিটে বিভিন্ন শুভেচ্ছাবার্তা লিখে নিজের বাইসাইকেল সাজান নবাব আলিবর্দী। তাতে যোগ করেন জন্মদিন উদযাপনের অন্যতম দুই অনুসঙ্গ বেলুন ও ফুল। শুক্রবার সকালেই ওই বাইসাইকেল চালিয়ে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে আসেন আলিবর্দী। বিকেল পর্যন্ত বাইসাইকেলটি নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন তিনি।

বাইসাইকেল সাজিয়ে শুক্রবার সকালে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে আসেন নবাব আলিবর্দী
ছবি: প্রথম আলো

নবাব আলিবর্দী জানালেন, তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরের বিদ্যাধরপুর গ্রামে। ২০০৭ সালে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি কলেজ লাইব্রেরিতে প্রথম আলো পত্রিকা পড়া শুরু করেন। প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম ও মোশতাক আহমেদের সব লেখা তিনি পড়েন। স্বপ্ন নিয়ে এবং নারীমঞ্চ পাতার প্রতি তাঁর রয়েছে বিশেষ আগ্রহ।

প্রথম আলো আপনার প্রিয় কেন, জানতে চাইলে নবাব আলিবর্দী বলেন, ‘সত্য, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার কারণে আমি প্রথম আলো পড়ি। প্রথম আলো সংবাদ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করে না। গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ায় প্রথম আলো। প্রথম আলো ট্রাস্ট মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রথম আলো বন্ধুসভা সারা দেশে সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।’

শুক্রবার সারা দিন নিজের বাইসাইকেল নিয়ে কারওয়ান বাজারে আলোর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন নবাব আলিবর্দী
ছবি: প্রথম আলো

নবাব আলিবর্দী প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকা বাংলাদেশের শীর্ষে’, ‘আমি প্রথম আলোর একজন নিয়মিত পাঠক, পত্রিকা পড়লে মেধার বিকাশ ঘটে।’

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ককশিটে তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন, সেরা সাহসী নারী সাংবাদিক রোজিনাকে।’

ব্যতিক্রমীভাবে শুভেচ্ছা জানানোর কারণ জানতে চাইলে নবাব আলিবর্দী বলেন, ‘প্রথম আলোকে আমি অনেক ভালোবাসি। এ কারণে ভাবছিলাম একটু অন্যভাবে প্রিয় পত্রিকাকে শুভেচ্ছা জানানো যায় কি না। কয়েক দিন ধরেই ভাবছিলাম কীভাবে শুভেচ্ছা জানাব। তারপর হঠাৎ করেই মাথায় আসে আমার প্রিয় বাইসাইকেলটি নিয়েই শুভেচ্ছা জানাব।’

বৃহস্পতিবার ছিল প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সারা দিনব্যাপী ঢাকায় প্রথম আলো কার্যালয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয়।

পরদিন এভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানানোর কারণ ব্যাখ্যায় নবাব আলিবর্দী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি অফিস থেকে ছুটি পাইনি। তাই ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারিনি।’