প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে ওঠে জায়নামাজ খোঁজেন, চা বানিয়ে খান

জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে জায়নামাজ খোঁজেন। নামাজ ও পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে নিজেই চা বানিয়ে খান।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করে বলেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ফোন খোঁজেন, তার মা ঝাড়ু খোঁজেন। প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠে কী খোঁজেন তা জানতে চান তিনি।

এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকালে উঠে আমি জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠে আগে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর এক কাপ চা নিজে বানাই। সকালের চা আমি নিজে বানিয়ে খাই। চা-কফি যাই বানাই নিজে বানিয়ে খাই। ছোট বোন বাসায় থাকলে দুজনের যে আগে ওঠে সে বানায়। মেয়ে পুতুল আছে। সেও আগে উঠলে বানায়। তার আগে ঘুম থেকে ওঠার পর নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি। এরপর বই-টই যা পড়ার পড়ি। আর ইদানীং করোনাভাইরাসের পরে সকালে একটু হাঁটতে বের হই। তবে আরেকটা কাজ করি এখন। সেটা বললে কী হবে (হেসে ফেলেন)। গণভবনে একটি লেক রয়েছে। হাঁটার পরে লেকের পাড়ে যখন বসি, তখন ছিপ নিয়ে বসি। মাছ ধরি।’

পারিবারিক শিক্ষার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আব্বার (বঙ্গবন্ধু) নির্দেশ ছিল একজন রিকশাওয়ালাকেও আপনি বলে সম্বোধন করতে হবে। ড্রাইভারকে ড্রাইভার সাহেব বলতে হবে। কাজের যারা লোকজন তাদের কখনো চাকর-বাঁকর বলা যাবে না। হুকুম দেওয়া যাবে না। তাদের কাছে কিছু চাইতে হলে সম্মান করে ভদ্রভাবে চাইতে হবে। যে কারণে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, যত দূর পারি নিজে করে খাই। কিন্তু এখনো আমার বাড়িতে কাজের মেয়ে যারা আছে, কারও কাছে যদি এক গ্লাস পানিও কখনো চাইতে হয়, তাদের জিজ্ঞাসা করি, আমাদের এটা দিতে পারবে? এই শিক্ষাটা আমরা নিয়ে আসছি। এই শিক্ষা বাবা আমাদের দিয়ে গেছেন। এখনো মেনে চলি। আমরা সবাইকে সমান সমাদর করি। বরং যাদের কিছু নেই তাদের দিকে একটু বেশি নজর দিই।’