প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগ, পদ হারালেন টাঙ্গাইলের প্যানেল মেয়র

টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হাফিজুর রহমান ওরফে স্বপনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তানভীর হাসান ফেরদৌস (প্যানেল মেয়র-২) এখন প্যানেল মেয়র-১-এর দায়িত্ব পালন করবেন বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ৫ জুন শহরের আকুরটাকুরপাড়ায় একটি জমি পরিমাপকে কেন্দ্র করে ওই জমির মালিকের জামাতা মফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি মফিজুরকে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মানি না. . . ।’ এ সময় তিনি নানা অশ্লীল বক্তব্যও দেন। তাঁর কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাফিজুরের আপত্তিকর এই কথোপকথন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এরপর ৯ জুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হাফিজুরের বিরুদ্ধে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিকুর রহমান ওরফে মোর্শেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ ছাড়া মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আকুরটাকুরপাড়ার প্রয়াত আশরাফ চৌধুরীর জামাতা মফিজুর রহমান টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একই অভিযোগে ১৩ জুন তাঁকে টাঙ্গাইল পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন

হাফিজুর টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাফিজুর প্রথমে ছাত্রদল ও পরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালের জুন মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। যোগদানের পরই তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। পরে ২০১৬ সালে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ পান। তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরপর চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর প্যানেল মেয়র-১-এর দায়িত্ব পান।