প্রধানমন্ত্রীর কাছে নানা দাবি

আজ মঙ্গলবার সিলেটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরকালে তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার এম সি একাডেমির মাঠে সিলেটের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ের বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জে গ্যাস-সংযোগের কাজও। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশ্বনাথবাসী ও বিয়ানীবাজারবাসী আরও কিছু দাবি জানাবেন।
বিশ্বনাথবাসীর অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলাকে পৌরসভায় উন্নীত করা, উপজেলা সদরে সরকারি কলেজ ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বালক-বালিকা) এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মধু মিয়া জানান, অগ্নিকাণ্ডে জনগণের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে উপজেলা সদরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের বিকল্প নেই। প্রথম আলো বিশ্বনাথ বন্ধুসভার সভাপতি প্রবীর কান্তি দে জানান, এই উপজেলাকে ‘পৌরসভা’য় উন্নীত করা হলে সরকার যেমন অধিক পরিমাণে রাজস্ব পাবে, তেমনি এখানকার জনসাধারণও পাবেন সুষ্ঠু নাগরিকসেবা। বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল হক জানান, বিশ্বনাথে সরকারি কলেজ স্থাপন করা হলে উপজেলার লেখাপড়ার মান বাড়বে, মেধার বিকাশ হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার অগ্রগতি হবে সবচেয়ে বেশি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিয়ানীবাজারবাসীর সবচেয়ে বড় দাবি হলো ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি তাঁরা চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুসহ অসম্পূর্ণ সড়কের কাজ শেষ করার দাবি জানাবেন। ২০০৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর-গোলাপগঞ্জ-সিলেট সড়কের চন্দরপুর-সুনামপুরের মধ্যবর্তী কুশিয়ারা নদীতে একটি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কিন্তু এ পর্যন্ত ওই সেতুর শুধু পিলার (খুঁটি) নির্মাণের কাজ হয়েছে।
উপজেলার নালবহর গ্রামের সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।’ পৌর এলাকার শ্রীধরা গ্রামের জাকারিয়া আলম বলেন, ‘আমাদের এলাকার গ্যাস অন্যত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা পাচ্ছি না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের আশা, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু বলবেন।’