প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগে অসন্তোষ

২৭ ফেব্রুয়ারি পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচারণা জমে উঠেছে। তবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তবে এই পদে এলডিপির ও জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন একজন করে।

চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হলেন নাসির আহমদ। তিনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এ পদে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক তিমিরবরণ চৌধুরীও নিবাচন করছেন।

অপর দিকে, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এই পদে বিএনপি-সমর্থক কামাল উদ্দীনও নির্বাচন করছেন। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নিয়ে দলে বিভাজন তৈরি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নবঞ্চিতদের অনেকেই দলের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ক্ষুব্ধ। এতে প্রচারণায়ও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

পটিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ‘আমাদের মতামত নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঠিক করা হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঘোষণার সময় কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।’

দক্ষিণ জেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সফিকুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান পদে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসম্পাদক রেজাউল করিম গ্রহণযোগ্য ছিলেন। তাঁকে প্রার্থী করা হলে বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। কিন্তু প্রার্থী করা হয়েছে মোজাফফর আহমেদকে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নাসির আহমদ নির্বাচনী প্রচারণায় থাকলেও মাঠে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী তিমিরবরণ চৌধুরী।

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দলের বৈঠকে নাসির আহমদকে একক প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। তিনি আরও বলেন, যাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত মানবেন না, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিমিরবরণ চৌধুরী বলেন, দলীয়ভাবে কাকে একক প্রার্থী করা হয়েছে, ‘সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি।’