প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করছেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া

রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও হাইকোর্টে বিফল হয়ে এবার তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করতে যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

পৃথক তিনটি রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার পক্ষে আগামীকাল রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক তিনটি আবেদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

তফসিল অনুসারে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ হিসাবে নির্বাচনের আর মাত্র সাত দিন বাকি। এখন সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলছে, তবে জরুরি বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রয়েছে। সূচি অনুসারে ২৪ ডিসেম্বর অবকাশকালীন চেম্বার কোর্ট রয়েছে।

খালেদার অন্যতম আইনজীবী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রিট আবেদন তিনটি খারিজ করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক তিনটি আবেদন করা হচ্ছে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগামীকাল রোববার আবেদনগুলো দায়ের করা হবে। আবেদনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাঁকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭—এই তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট আবেদনের ওপর ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুল দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত স্থগিতের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেন। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে প্রধান বিচারপতি ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে পাঠান। এটি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে পরিচিত। এই বেঞ্চ ১৮ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। এর ফলে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত হয়।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া ওই তিনটি আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে যাচাই-বাছাই শেষে তিন আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তাঁর পক্ষ থেকে ইসিতে আপিল করা হয়। ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। প্রার্থিতা বাতিলের পক্ষে রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) তিন কমিশনার। আর খালেদার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ভোট দেন। ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ৯ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া।