প্রিয়কের মায়ের পাশে ইউএস-বাংলা

উড়োজাহাজে ছিলেন (বাঁ থেকে) স্বর্ণা, আলোকচিত্রী এফ এইচ প্রিয়ক, তাঁর স্ত্রী অ্যানি ও তাঁদের সন্তান তামারা। স্বর্ণা ও অ্যানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে সন্তানসহ প্রাণ হারিয়েছেন প্রিয়ক। ছবি: ফেসবুক থেকে
উড়োজাহাজে ছিলেন (বাঁ থেকে) স্বর্ণা, আলোকচিত্রী এফ এইচ প্রিয়ক, তাঁর স্ত্রী অ্যানি ও তাঁদের সন্তান তামারা। স্বর্ণা ও অ্যানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে সন্তানসহ প্রাণ হারিয়েছেন প্রিয়ক। ছবি: ফেসবুক থেকে

নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত এফ এইচ প্রিয়কের বাড়িতে গিয়েছে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার বেলা দুইটায় তারা গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রিয়কের বাড়িতে যায়। সেখানে তারা প্রিয়কের শোকার্ত মাকে সান্ত্বনা দেয় এবং কিছু সময় কাটায়। একই সঙ্গে সব সময় পরিবারটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।

১২ মার্চ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী ছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে এফ এইচ প্রিয়ক ও তাঁর মেয়ে আড়াই বছরের তামারা প্রিয়ন্ময়ী নিহত হন। আহত হন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি এবং মেহেদী হাসান ও সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা। এই তিনজনকে গতকাল শুক্রবার দেশে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রিয়কের পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ইউএস-বাংলার প্রতিনিধিদল। ছবি: প্রথম আলো
প্রিয়কের পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ইউএস-বাংলার প্রতিনিধিদল। ছবি: প্রথম আলো

ইউএস-বাংলার বিক্রয় ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এমন মর্মস্পর্শী ঘটনার শিকার পরিবারের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। এফ এইচ প্রিয়কের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। তবু এ সময় পরিবারটির সামনে এসে উপস্থিত হয়ে তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি।’

কামরুল ইসলাম বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের স্বজনদের সঙ্গেই দেখা করবেন ইউএস-বাংলার প্রতিনিধিরা। নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। দুই দেশের পক্ষে সব কার্যক্রম শেষে অতি দ্রুত মরদেহ দেশে আনার সব ধরনের উদ্যোগ নেবেন তাঁরা। তা ছাড়া আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।