ফটিকছড়ি বুধবার থেকে ৮ দিনের লকডাউন

ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় আট দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধসংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বুধবার থেকে ওষুধের দোকান ছাড়া নগর ও আশপাশের উপজেলার সব বিপণিবিতান ও দোকানপাট রাত আটটার পর থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে ফটিকছড়ি উপজেলায় সংক্রমণের হার ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। অন্য উপজেলাগুলো থেকে ফটিকছড়িতে সংক্রমণের হার বেশি থাকায় প্রথম পর্যায়ে এ উপজেলাকে লকডাউন করা হচ্ছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

লকডাউন চলার সময় ফটিকছড়ি উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলো মহাসড়কে উঠতে পারবে না বলে সভায় জানানো হয়। এ ছাড়া এ সময় ওষুধের দোকান ছাড়া কাঁচাবাজার সকাল ৭টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। লকডাউনের সময় ফটিকছড়ি উপজেলার মসজিদগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করতে হবে মুসল্লিদের।

একই সভায় নগরের সব রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে জনসমাগম রোধ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে নগরে ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ঈদের সময় মানুষের গণহারে ছোটাছুটির প্রভাব পড়েছে এখন সংক্রমণ হারে। সংক্রমণের হার বাড়ার আমরা যে শঙ্কা করেছিলাম, সেটি হয়েছে।’

এদিকে ফটিকছড়ি, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও অনোয়ারা উপজেলায় এবং নগরে জালালাবাদ, শুলকবহর, চকবাজার, হালিশহর, পাহাড়তলী, লালখান বাজার এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি বলেও জানান সিভিল সার্জন।

বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।