ফরিদপুরে র্যাব সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৪৫ জনের কোভিড শনাক্ত

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় র‌্যাব সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৪৫ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা হলো ৭৫৩ জন। শুক্রবার পর্যন্ত ফরিদপুরের ৯টি উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ১২০ জন। গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন করে সংক্রমিত মানুষের মধ্যে র‌্যাব-৮ ফরিদপুরের তিন সদস্য, দুজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মী রয়েছেন।

ফরিদপুরে নতুন করে যে ৪৫ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তাঁদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ১৬, ভাঙ্গায় ১৫, নগরকান্দায় ৯, সালথায় ২ এবং মধুখালী, চরভদ্রাসন ও সদরপুরে ১ জন করে রয়েছেন। নতুন করে সংক্রমিত লোকজনের মধ্যে ১৪ জন নারী ও ৩১ জন পুরুষ।
নতুন করে যে ৪৫ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৫ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন এবং ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন।

ফরিদপুরের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৬৩ জনের। এঁদের মধ্যে ফরিদপুরের ৫ জন পুরোনোসহ ৫০ জন, রাজবাড়ীর ২ জন এবং ফলোআপসহ গোপালগঞ্জের ১১ জন।

আজ শনিবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট সংক্রমিত ৭৫৩ জনের মধ্যে ভাঙ্গার ১৯৯, ফরিদপুর সদরের ১৯৬, বোয়ালমারীর ১১২, সদরপুরের ৫৩, চরভদ্রাসনে ৫২, নগরকান্দায় ৫৪, আলফাডাঙ্গায় ৩৮, সালথায় ২৮ এবং মধুখালীতে ২১ জন রয়েছেন।

এদিকে এ পর্যন্ত ফরিদপুরের ৯টি উপজেলায় মোট ১২০ জন করোনার রোগী সুস্থ হয়েছেন। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে বোয়ালমারীতে ৩২, সদরে ২৬, আলফাডাঙ্গা ও নগরকান্দায় ১ ৮জন করে, চরভদ্রাসনে ৮, সদরপুরে ৭, ভাঙ্গায় ৬, মধুখালীতে ৪ এবং সালথায় ১ জন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সালথা, সদরপুর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যে ৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, সংক্রমিত লোকজনকে আপাতত বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁদের ফরিদপুরের করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।