ফেনীতে কারাফটকে বিয়ে করা ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ফেনীতে কারাফটকে বিয়ে করা ধর্ষণ মামলার সেই আসামি জামিন পেয়েছেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার তাঁকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন।

আদালতে আসামিরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট এক বছরের জন্য সেই আসামিকে জামিন দিয়েছেন। ফলে, পাঁচ মাস এক দিন ধরে কারাগারে থাকা সেই ব্যক্তির মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৭ মে ফেনীর সোনাগাজীর এক তরুণী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ২৯ মে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ। পরে তাঁর পরিবার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে আপস-মীমাংসা করে।

আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করবেন—এমন কথা জানিয়ে তাঁর পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১ নভেম্বর আদেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, আবেদনকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী ও আসামি বিয়ে করতে সম্মত হয়েছেন। এ অবস্থায় তাঁদের সম্মতিতে ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করতে ফেনীর জেল সুপারকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

১৯ নভেম্বর কারাগারে বর–কনেসহ দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

কারা সূত্র জানায়, ১৯ নভেম্বর সকালে মিষ্টি নিয়ে দুই পক্ষের আত্মীয়স্বজনসহ আইনজীবীরা কারাগারের ফটকে হাজির হন। পরে বিয়ের মূল আয়োজন সম্পন্ন করতে আসেন ফেনী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান ও বিয়ের কাজি আবদুর রহিম। এ সময় ছয় লাখ টাকা দেনমোহর এবং এক লাখ উশুল ধার্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

বিয়ের বিষয়টি অবহিত করে জামিন আবেদনটি গতকাল রোববার হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট আজ আসামির জামিনের আদেশ দেন।