ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি মারা গেছেন

ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি
ফাইল ছবি

প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) চেয়ারম্যান, ডাকসুর সাবেক ভিপি ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি (৭৮) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মেয়ের বাসায় এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন।


তাঁর স্ত্রী নিলুফার পান্না কোরেশি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫ সালে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর থেকেই কোরেশি অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল আবার তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে আর বাঁচানো যায়নি। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

মেয়ে পারমিতা কোরেশি প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর বাবার প্রথম জানাজা হবে। এর পর জোহরের নামাজের পর ফেনীর দাগনভুঁইয়ার বাসুদেবপুর গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।


ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল। ষাটের দশকে অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন ফেরদৌস কোরেশি। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন। ছয় দফা আন্দোলন ও ১১ দফা ভিত্তিক ছাত্র ও গণ-আন্দোলন, ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সামনের সারির নেতা। ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হওয়ার পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী প্রথম যুগ্ম মহাসচিব হন। ১৯৯৬ সালে ফেনী-২ আসন থেকে ধানের প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।

পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) গঠন করেন। যা ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচিতি পায়। সে দলটিও তাঁর জীবদ্দশায় ভেঙে যায়। তাঁর শয্যাশায়ী অবস্থায় পিডিপি দুই ভাগ হয়ে গেলে স্ত্রী নিলুফার পান্নাকে চেয়ারম্যান করেন তিনি।