‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অস্বীকার করারই নামান্তর’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করারই নামান্তর। ১৯৭১ সালে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, আজ তারা ও তাদের অনুসারীরাই এ ধরনের দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে।’

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলে।

আজ সোমবার সকালে সংগঠনটির সভাপতি নূরে আলম ও সাধারণ সম্পাদক শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিক্রিয়াশীল, মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল সারা দেশে অপতৎপরতাসহ নানান ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ও তাদের মদদদাতাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারী রাজাকার, আলবদর আলশামসের দোসরদের ঠাঁই নাই। মৌলবাদী অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সোনার বাংলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’