বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা

মমতাজ বেগম

মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয় শিশু একাডেমিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এক সংবাদ সম্মেলনে পদকের জন্য মনোনীত নারীদের নাম ঘোষণা করেন। আগামী রোববার এই পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বছরই প্রথম এ পদক দেওয়া হচ্ছে।

জয়া পতি

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন ৮ আগস্টকে সরকার ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস ঘোষণা করেছে। বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করতে এ বছর থেকে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ প্রদান করা হবে। এ বছর পদক পাচ্ছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় টাঙ্গাইলের জয়া পতি (মরণোত্তর), কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে পাবনার কৃষি উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার বেগম, রাজনীতিতে কুমিল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন এবং গবেষণায় নেত্রকোনার লেখক ও গবেষক নাদিরা জাহান।

নুরুন্নাহার বেগম

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী পদকপ্রাপ্ত নারীদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার চেক এবং সম্মাননাপত্র তুলে দেবেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতির পিতার নেপথ্য শক্তি, সাহস ও বিচক্ষণ পরামর্শক হয়ে আছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

জোবেদা খাতুন

প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী রোববার বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পদক প্রদান করবেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনলাইনে আরও সংযুক্ত থাকবেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক।

নাদিরা জাহান

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দেওয়া সুবিধাভোগীদের তালিকা অনুযায়ী ৬৪ জেলায় চার হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়া হবে। এ ছাড়া দুই হাজার নারীকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে যুক্ত হয়ে বঙ্গমাতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বেগম মাকসুরা নূরসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।