বছরের পর বছরেও সড়কের কাজ কেন শেষ হয় না, ব্যাখ্যা চায় সংসদীয় কমিটি

বাংলাদেশের অনেক সড়ক সংস্কার প্রকল্পের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানো হয়, বাড়ে ব্যয়ও। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, বারবার সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটি। কেন সময় বাড়াতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম নিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুমিত হিসাব কমিটির বৈঠক হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জোনের চলমান প্রকল্প এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ–মদনপুর–দিরাই–শাল্লা–জলসুখা–আজমিরিগঞ্জ–হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা–জলসুখা অংশ নির্মাণে প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি ৩ শতাংশ। ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের দুটি অংশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ চার লেনে উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। পরে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু এখনো কাজ শেষ হয়নি। বেশির ভাগ প্রকল্পেই এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। একজন সদস্য বলেন, অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। কিন্তু এতে যে জনদুর্ভোগ হচ্ছে, তা বিবেচনায় নিতে হবে। এরও একটি মূল্য আছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্প কেন সময়মতো বাস্তবায়ন হয় না, বারবার কেন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়, প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি কীভাবে সমান হয়—এসব বিষয় কমিটি জানতে চেয়েছে।

কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাঁরা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ ও অনিয়ম নিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

সভাপতি বলেন, কমিটি কর্মকর্তাদের অশ্রাব্য ভাষায় কিছু বলেনি। কমিটি বলেছে, তাঁরা (কর্মকর্তারা) মেধা কাজে লাগিয়ে তামাশা করছেন।

কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খাদিজাতুল আনোয়ার অংশ নেন।