বনানীতে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় সালমা খান

সালমা খান

নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদসংক্রান্ত (সিডও) জাতিসংঘ কমিটির সাবেক চেয়ারপারসন, অর্থনীতিবিদ ও নারী অধিকারকর্মী সালমা খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ জোহর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

সালমা খান প্রথম এশীয় হিসেবে সিডও কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে প্রথম নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সংক্রান্ত জাতিসংঘের সিডও কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭–১৯৯৮ সালে তিনি কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

৮০ বছর বয়সে গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসায় সালমা খানের মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর স্বামী সাবেক মন্ত্রী হাবিব উল্লাহ খান পাশে ছিলেন। তবে তাঁদের একমাত্র মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী হুমানা খানের জন্য অপেক্ষা করতে মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। গত মঙ্গলবার হুমানা খান দেশে ফেরেন।

আজ দুপুরে জানাজা শেষে হুমানা খান প্রথম আলোকে বলেন, আগামী শুক্রবার বাদ আসর গুলশানের বাসায় তাঁর মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিমসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সালমা খানের স্বামী হাবিব উল্লাহ খান, জামাতা কাজী আমিনুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা সালমা খান ১৯৯০ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে স্বর্ণপদক, ১৯৯৭ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পান।