বন্য প্রাণী সংরক্ষণে যে পথে এগোতে হবে

বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে গন্ডার

৬০ থেকে ৭০ বছর আগে যখন গাঁয়ের মেঠোপথ ধরে বাড়ি থেকে বড় পাড়ার আরেক প্রান্তে বালিয়া অবৈতনিক পাঠশালায় যেতাম, কিংবা তিন কিলোমিটার দূরে চৌহাট বাজার অথবা পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরে ধানতারার সোমবারের হাটে যেতাম, তখন কেবল বংশী নদীর পাড় ছাড়া গোটা পথ ছিল ছায়াঢাকা। পথের মাঝে-মাঝে ছিল বিশালাকায় বট, অশ্বত্থগাছ। কোথাও থাকত আম-জাম-কাঁঠাল-তেঁতুল-শিমুল-ছাতিম-দেবদারুগাছ। প্রায়ই সেসব গাছের নিচে বাঁশের বাতা দিয়ে বানানো বেঞ্চ এবং তার ওপর একপাশে বসানো থাকত মাটির কলস ও একটি বাটি বা মাটিরই তৈরি গ্লাস, যাতে পথিক তেষ্টা মেটাতে পারত। অথবা এসব গাছের নিচেই হতো পাতকুয়া বা ইন্দারা। কাজেই বিশ্রামের সঙ্গে পানি পানেও কোনো ব্যাঘাত হতো না।

এসব গাছে বছরের পর বছর ধরে বানানো শকুন, কুড়া, বওল বা মাছমুরাল, শঙ্খচিল, ভুবনচিল ও সাদাচিলের বাসা থাকত। বিশেষ করে আম ও গাবগাছে থাকত পেঁচা। এসব গাছে যখন ফুল হতো বা ফল পাকা শুরু হতো, তখন সেখানে বাহারি পাখির আড্ডা বসত। রাস্তার ধারে ফসলের খেত রক্ষায় যে বেড়া দেওয়া হতো বা ডালপালা পুঁতে রাখা হতো, তার ওপর বসে খেতের পোকামাকড় খেত ফিঙে, বুলবুলি, কসাই পাখি ও দোয়েল। কানাকুয়া বা কানাকোকা পাটখেতে হেঁটে হেঁটে শুঁয়োপোকা খেত। আমরা ভাবতাম ওরা উড়তে পারে না। অনেক ধাওয়া করেছি। কিন্তু ধরতে পারিনি।

এখন ছয় থেকে সাত দশক পরে মনে হচ্ছে, দেশ থেকে ফুল, ফল ও ছায়াদানকারী যে বিশালাকায় বৃক্ষরাজি ছিল, তাদের চিরবিদায় হয়েছে। সেখানে লেগেছে ভিনদেশি ইউক্যালিপটাস, আকাশমণি বা একাশিয়া, রেইনট্রি, রিচার্ডের কড়ই বা বিদেশি গর্জন বা গগনশিরীষ, রাবার, প্রভৃতি অর্থকরী গাছপালা, যা আর পাখি বা বাদুড়দের আকর্ষণ করে না।

এখন একটু চোখ ফেরান যাক আমাদের বনের দিকে। আরণ্যক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের বন বিভাগের একটি সহযোগী এনজিও। তারা সরকারি বনের পরিমাণ দেখিয়েছে নিচের ছকে:

ওপরের তথ্যে দেশে বনভূমির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের মোট আয়তনের ১৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

অন্যত্র দেশের বনের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২৪ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার বা ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ (তথ্যসূত্র: দ্য বাংলাদেশ অবজারভার ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০১)।

বাংলাপিডিয়ায় এ বনের পরিমাণ ২২ হাজার ৪১৭ বর্গকিলোমিটার বা ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ বলা হয়েছে।

অথচ বন বিভাগের সহযোগিতায় প্রণীত দলিল বাংলাদেশ জাতীয় সংরক্ষণ কৌশল বা প্রতিবেদনে দেশের বনভূমির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার বা ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ তথ্য আছে বন বিভাগের নিজস্ব ইন্টারনেট সাইট বিফসেরস্ট পোর্টালে।

এ দলিল অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ২ হাজার ৬০০ হেক্টর বা ২৬ বর্গকিলোমিটার বন হারিয়েছে, যা এফএও ২০১৫ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে। এর ফলে দেশের মূল ও প্রাথমিক বনভূমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৯৪০ বর্গকিলোমিটার থেকে ১৪ হাজার ২৯০ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসেছে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। তাই ১৯৯৪ থেকে ২০১৫ সাল সময়ে বার্ষিক গড় বন নিধনের পরিমাণ দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ২০ শতাংশে।

ওপরের রিপোর্টে এফএওর ২০১৫ সালের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক বনজ সম্পদ মূল্যায়নের মতে, দেশের বনভূমির পরিমাণ ১৪ হাজার ২৯০ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের আয়তনের মোট ১১ শতাংশ মাত্র। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে মাথাপিছু বনের পরিমাণ যখন শূন্য দশমিক ৬০ হেক্টর, তখন বাংলাদেশে মাথাপিছু বন হচ্ছে শূন্য দশমিক ০১৫ হেক্টর।

এবার আসুন দেখা যাক এখানে শুভংকরের ফাঁকিটি কোথায়। আপনারা কেউ কি হলফ করে বলতে পারবেন, বাংলাদেশের কোন গ্রামে বন আছে। আসলে নেই। যা আছে তা মানুষের ঘরদোর বা পতিত ভূমিতে লাগানো বা আপনা থেকে বেড়ে ওঠা ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার বা ফল উৎপাদনের জন্য লাগানো গাছপালা। এগুলো এক জায়গায় পাঁচ-দশ বা শত শত একরজুড়ে বিরাজ ক‌রে না। অতএব এগুলো প্রাকৃতিক বন নয়।

অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বন, মূলত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম বা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায় বিস্তৃত। এর ব্যবস্থাপনা বন বিভাগের হাতে নেই, আছে দেশের অন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতে।

শালবন, সুন্দরবন এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের যে চিরসবুজ বা মিশ্র চিরসবুজ বন, সেগুলো কেবল প্রাকৃতিক বনের পর্যায়ে পড়ে। কেবল সুন্দরবন ছাড়া বাকি বনে মানুষ বসবাস করে।

১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে শালবন দেখেছি। আমার নানাদের নিজস্ব¼শালগাছের গড় ছিল রাথুরা, কালিয়াকৈর থানায়, তার ১০ শতাংশও এখন নেই। আমি ১৯৫৮ সালে মানিকগঞ্জ থেকে ভাড়া করা নৌকা নিয়ে রাথুরা নানাবাড়ি গোড়াই হয়ে যাই এবং নানাদের দেওয়া শালকাঠ নৌকা বোঝাই করে মানিকগঞ্জ নিয়ে আসি। সে কাঠ দিয়ে একটি বড় দোতলা টিনের ঘর তৈরি করা হয়। ওই ঘরের সব থাম হয়েছিল ওই সব শালকাঠ দিয়ে। সে ঘর ২০১০-এর দশকেও ছিল। কোনো দিন সে শালকাঠে ঘুণ ধরেনি।

আপনারা কেউ কি হলফ করে বলতে পারবেন, বাংলাদেশের কোন গ্রামে বন আছে। আসলে নেই। যা আছে তা মানুষের ঘরদোর বা পতিত ভূমিতে লাগানো বা আপনা থেকে বেড়ে ওঠা ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার বা ফল উৎপাদনের জন্য লাগানো গাছপালা। এগুলো এক জায়গায় পাঁচ-দশ বা শত শত একরজুড়ে বিরাজ ক‌রে না। অতএব এগুলো প্রাকৃতিক বন নয়।

এখন সম্ভবত দেশের কোনো শালবনে ২০ বছরের চেয়ে পুরোনো শালগাছ পাওয়া কঠিন হবে, বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কিছু নমুনা ছাড়া।

শালবনে মানুষের বসতি গড়ে ওঠা, আদি বন কেটে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মনুষ্য সৃষ্ট বন ও আদি বনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমূল পরিবর্তন করে ফেলায় সেখানে এখন আর গন্ডার, হাতি, বুনো মহিষ, সাম্বার ও মায়াহরিণ, বাঘ, চিতাবাঘ, উল্লুকসহ ক‌েয়ূক প্রজাতির নরবানর, ধনেশ, ময়ূর, কাটমৌর, মথুরা, অজগর, প্রভৃতি বন্য প্রাণী নেই। দু-চারটি যে হাতি ভারতঘেঁষা নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর সীমান্তে আছে, সেগুলো মানুষের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এগুলো আসলে ভারতের দেওয়া কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে সীমান্তে আটকে আছে।

অতএব, এ বনে প্রাকৃতিকভাবে বিরাজমান বন্য প্রাণী থাকার সুযোগ নেই। তবে যেসব বন্য প্রাণী মানুষের অত্যাচার সহ্য করে বসবাস করতে পারে, তাদের সব নমুনা আছে। এখানে বসবাস করা জনগোষ্ঠী, বাঙালি জনতা, বন বিভাগ, বনচোর এবং সরকারি ভুল বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নীতি আদি শালবন বিলুপ্তির পেছনে রয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে উঠে এসেছে।

বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম এবং অধুনালুপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় যে চিরসবুজ বা মিশ্র চিরসবুজ বন আছে, সেখানে প্রায় ১০০ বছর ধরে বন ধ্বংসজ্ঞ চলছে। এর জন্য প্রথমে ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশ সরকারগুলোর বন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত নীতি ও অব্যবস্থা যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, যারা নির্মমভাবে বন হত্যা করে আসছে গত ৩০০ থেকে ৪০০ বছর ধরে জুমচাষের নামে।

এ বিশাল বন সংরক্ষণ করবে কে?

এ বনে এখন গন্ডার, ভালুক, বাঘ, চিতাবাঘ থাকে না। কালেভদ্রে এদের দু-একটি নমুনা ক্যামেরা ট্রাপে ধরা পড়ে। এদের স্বচক্ষে দেখেছে এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। আর ওখানকার বাসিন্দা যাঁরা দেখেন, তাঁরা এদের মেরে খান। কারণ, এটা পাহাড়ে আদি বাসিন্দাদের জন্মগত অধিকার।

এখন বাদ থাকল কেবল সুন্দরবন। দেশের সব বনের মধ্যে এ বনের অবস্থা ভালো। তারপরও ১৫০ থেকে ২০০ বছর ধরে সরকার একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এ বনের গাছ কেটে আসছে। এটাকে বলে নির্বাচিত বা চিহ্নিত গাছ কাটা বা ‘সিলেকশন লগিং’। এ পদ্ধতিতে চিরসবুজ বনের মতো মাটি বাদে সব গাছকাটা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া এটা মোহনা বা উপকূলীয় বন হওয়ার ফলে সব গাছ বা উদ্ভিদ প্রজাতি জ্বালানো যাবে না। এ বনে জনবসতির ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছে।

এত কিছু করার পরও অদম্যভাবে বন কাটা বা গাছ চুরি এবং মানুষের অত্যাচার বা ব্রিটিশামল থেকে অতি শিকারের ফলে সুন্দরবন থেকে বিলীন হয়েছে দুই প্রজাতির গন্ডার, বুনো মহিষ, বারশিঙ্গা, চিতাবাঘসহ অনেক প্রাণী। এ বনে ৫০ বছরের পুরোনো কাঠজাতীয় কোনো গাছ পাওয়া দুষ্কর। যাও দু-একটি আছে, তা এমনভাবে বেড়ে উঠেছে বা পোকায় খাওয়া যে এই কাঠের বাণিজ্যিক কোনো গুণাবলি নেই।

কিন্তু ইদানীংকালে যেভাবে সুন্দরবনে পর্যটক ঢুকছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, বাড়ছে ভারী শিল্প, যেমন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সাইলো এবং এর ওপর বৈরী আবহাওয়া ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, উপর্যুপরি ঘূর্ণিঝড়, নৌযান চলাচল, মাছসহ বাকি বন্য প্রাণী আহরিত হচ্ছে, তাতে সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল নয়, তা বলাই বাহুল্য।

গ্রামগঞ্জে বনবাদাড় নেই। যে ঝোপঝাড় আছে, সেখানে শুধু সেসব বন্য প্রাণী বসবাস করতে পারবে, যারা মানুষকে সহ্য করতে পারে।

সার্কভুক্ত শ্রীলঙ্কা ও নেপালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পাশের দেশ ভারত থেকেও উন্নত। এমনকি মালয়েশিয়ার চেয়েও ভালো।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস ২০২১-এর মূল ধারণা ‘বন এবং জীবিকা: টেকসই মানুষ এবং আমাদের গ্রহ’ দেশে অর্থবহ করা প্রায় অসম্ভব।

সার্কভুক্ত শ্রীলঙ্কা ও নেপালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পাশের দেশ ভারত থেকেও উন্নত। এমনকি মালয়েশিয়ার চেয়েও ভালো।

শ্রীলঙ্কার সরকার সরকারি বনভূমিকে তিন খণ্ডে বিচার করে। এর বড় খণ্ডের মালিক বন বিভাগ। তারপরের অংশ পড়েছে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের ওপর। এ বিভাগের জন্ম ১৯৪৯ সালে। মন্ত্রণালয়ের নাম ‘বন্য প্রাণী ও বন সংরক্ষণ’ এবং বাকি অংশ চা-কফি-মসলা প্রভৃতি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। বন বিভাগের অধীনে আছে দেশের ৫৫ শতাংশ বনভূমি। এ বিভাগ ব্রিটিশরা তৈরি করে ১৮৮৭ সালে। বাকি প্রায় সবটুকুই আছে বন্য প্রাণী বিভাগের অধীনে। এখানে বলে রাখা ভালো, বন বিভাগের জমিতে তারা যেকোনো বন কেটে সেখানে দেশি বা বিদেশি গাছ লাগিয়ে আয়কৃত টাকা সরকারি খাজনায় জমা করবে। এটাই তাদের কাজ। তবে এখানে বন্য প্রাণী যা আছে, তা সংরক্ষণ করবে বন্য প্রাণী বিভাগ। তবে বন বিভাগ মূলত তাদের অধীনে দেওয়া ৯০০ বর্গকিলোমিটার ভূমিতে বাণিজ্যিক বনায়ন করে থাকে।

শ্রীলঙ্কার বন্য প্রাণী বিভাগের হাতে যে বনভূমি ন্যস্ত করা হয়েছে, সেখান থেকে তারা কোনো গাছ বাণিজ্যিক কাজে বা নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কাটতে পারবে না। কোনো ভিনদেশি প্রজাতি আনতে পারবে না। কেবল বন্য প্রাণী ও তার ব্যবস্থাপনার প্রদর্শনের মাধ্যমে টাকা রোজগার করতে পারবে, যেটা তাদের মূল লক্ষ্য নয়। তারপরও এ খাতে শ্রীলঙ্কার আয় প্রচুর। অসংখ্য পর্যটক একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে বন্য প্রাণী ও বন প্রদর্শন করতে পারে। এক তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে এ বন্য প্রাণী বিভাগের আয় হয় ১ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার।

নেপালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থাও বেশ জোরদার। এখানে বন্য প্রাণী বিভাগ কোনো বন ধ্বংস করতে পারবে না। কিন্তু পরিবেশবান্ধব পর্যটকদের আনা-নেওয়া করতে পারবে বা শ্রীলঙ্কার মতো গবেষণা করতে পারবে।

আমি মনে করি, সরকার যদি পাশের দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের মতো নতুন করে একটি বন্য প্রাণী বিভাগ সৃজন করে তাদের হাতে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়, তাহলে হয়তোবা দেশে এখনো যে বন্য প্রাণী বেঁচে আছে, সেগুলো সংরক্ষণ এবং এসব বনভূমির সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কিছুটা হলেও উন্নতি করা সম্ভব হবে। সরকার এমন সিদ্ধান্ত যত তাড়াতাড়ি নেবে, ততই বন্য প্রাণী সংরক্ষণের পথ সুগম হবে।

রেজা খান: প্রধান বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ, দুবাই সাফারি