বরিশালে শাস্ত্রীয় নৃত্যসন্ধ্যা

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। নগরের অশ্বিনী কুমার হল দর্শকপূর্ণ৷ শুরু হয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চার ধারার সম্মিলনে দলীয় নৃত্য। কত্থক, মণিপুরি, ভরতনাট্যম ও ওডিসির নাচ। দর্শক মুগ্ধ হয়ে যায় উদ্বোধনী এই নৃত্যে। এরপর পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে নাচের বহুমাত্রিক নান্দনিক পরিবেশনা।
বরিশালে অনুষ্ঠিত প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্যের এই আয়োজনের উদ্যোক্তা নৃত্যাঙ্গন নৃত্যকলা একাডেমি। একাডেমির পরিচালক মুরাদুজ্জামান খান জানান, সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম একটি মাধ্যম নাচ। যার মাধ্যমে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব।
শাস্ত্রীয় নৃত্যের এই আয়োজনে শুধু বরিশাল নয়, বাইরের জেলা এবং ঢাকা ও সিলেট থেকেও নৃত্যশিল্পীরা যোগ দেন। সিলেট থেকে মণিপুরি নৃত্য নিয়ে উপস্থিত হন কেয়া সিনহা, ঢাকার চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ে সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহজাবিন আলম, বাগেরহাট জেলার অথৈ দাস। তাঁদের নান্দনিক নৃত্যশৈলীতে নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে।
বরিশালের সেরা নাচিয়েদের মধ্যে নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক তাহমিনা নাসরিনের পরিবেশনায় ওডিসি নৃত্য, একাধিক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বৃষ্টি ঘোষ, তিশান, মার্জিয়া বিনতে ছালাম, কৃষ্ণা সজ্জন, মালিহা ইসলাম, মরিয়ম হাসান, ফারজানা ববি এবং জেরিনের নৃত্যে মুগ্ধ হলভর্তি দর্শক।
শাস্ত্রীয় নৃত্যে নারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দর্শকনন্দিত হয়েছেন তপু হোসেন, বেলাল হোসেন, ইকবাল, শাওন, লুৎফর, সানি ও আসিফ।
নৃত্যানুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ১৬ জন সেরা নৃত্যশিল্পীকে সম্মাননা জানানো হয়। প্রত্যেককে সম্মাননা হিসেবে ফুল, উত্তরীয় এবং বিশেষ নৃত্য স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম। নৃত্যশিল্পীদের সম্মাননা জানান নাট্যজন সৈয়দ দুলাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুকুল দাস, কাজল ঘোষ, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা পংকজ রায় চৌধুরী, বরিশাল নাটকের সভাপতি আজমল হোসেন, পাপিয়া জেসমিন প্রমুখ।