বশেমুরবিপ্রবির দুই দশক পূর্তি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। বুধবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন। বিদ্যমান মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হয় এই বিদ্যাপীঠের দুই দশক পূর্তি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও দেশবাসীর উদ্দেশে শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০১২ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক ৮ জুলাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হয় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই দশক পূর্তি। ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের কারণে অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হয় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই দশক পূর্তি। ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, জাতির জনকের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে। পরে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টি আবার চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৫টি বিভাগে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি অনুষদ এবং ৩টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, তাঁদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি একসময় দেশসেরা বিদ্যাপীঠ হয়ে উঠবে।

*শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।