বসন্তবরণে চট্টগ্রামে ইডিইউতে উৎসব, মেলা
‘কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান/ বসন্ত এসে গেছে’ গানের সুরে সুরে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে উৎসবে মেতেছিল বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) শিক্ষার্থীরা। আলপনা ও রংবেরঙের অরিগ্যামিতে সাজানো ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ। পাহাড় ও গাছগাছালিতে ভরা ইডিইউ ক্যাম্পাসেও লেগেছিল বসন্তের ছোঁয়া। মুকুলে ছেয়েছে আমগাছ, শিমুলের ডাল ভরে উঠেছে রাঙা ফুলে। বাসন্তী হাওয়ায় দুলে উঠছিল ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণের বাহারি ফুল। এরই মাঝে সারা দিন মাতিয়ে রেখেছিল বসন্ত মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রকৃতির মতো বাসন্তী সাজে সেজে এসেছিলেন ইডিইউর সবাই।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয় মেলা। শিক্ষার্থীরা নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে স্টল নিয়ে বসেন মেলায়। এতে ছিল বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্প, পিঠাসহ নানা পদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও কাপড়। এ ছাড়া নাগরদোলা, দুলন্ত নৌকা, বেলুন ফোটানো ও রিং নিক্ষেপেরও আয়োজন ছিল। যেন এক গ্রামীণ আড়ঙেই রূপ নেয় ইডিইউর এ মেলা।
এ ছাড়া গান, নাচ, নাটক, পালাগান, আবৃত্তিসহ আরও হরেক রকমের আয়োজনে সারা দিনই মেতে ছিলেন সবাই। শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন নানা কার্যক্রমে। সবাই কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে, সুরে সুর মিলিয়ে গেয়ে ওঠেন, ‘আহা আজি এ বসন্তে, কত ফুল ফোটে, কত বাঁশি বাজে, কত পাখি গায়।’ সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙে এই মেলা, শেষ হয় বৈচিত্র্যময়তায় পূর্ণ এই আয়োজনের।
আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মু. সিকান্দার খান। তিনি বলেন, ফাগুন মানেই পলাশ, শিমুল, দখিনা হাওয়া, ফাগুন মানেই হৃদয় রঙিন, ফাগুন মানেই কোকিলের কুহুতান। তাই ফুল ফুটুক কিংবা না ফুটুক, আজ বসন্ত।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘বসন্ত উৎসব মূলত জীবনে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব। জীবন ও যাপনে নতুনত্ব আনাই হলো এই উৎসবের অন্তর্নিহিত অর্থ। জাতি হিসেবে নিজেদের মৌলিকত্ব ধরে রাখতে আমাদের ঐতিহ্যকে আরও নিবিড়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির যাবতীয় কার্যক্রমে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া, তেমনই রয়েছে আমাদের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের স্পর্শ।’
প্রভাষক সাবরিন সরওয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিল ইডিইউ লিটারেরি ক্লাব ও কালচারাল ক্লাব। বিজ্ঞপ্তি।
প্রেরক
তানভীর পিয়াল
জনসংযোগ কর্মকর্তা
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি
০১৮২৯৪৯৮১২৩