বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ দেশ: সিটিটিসি প্রধান

সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান
ফাইল ছবি

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। বড় কোনো হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই।

আগামীকাল ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ছয় বছর হতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সিটিটিসি প্রধান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত দুই বছরে একটিও জঙ্গি হামলা হয়নি। গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ দেশ।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে নব্য জেএমবি গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলা চালিয়েছিল, সেটি এখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। মাঠে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। জঙ্গিবাদী অপর সংগঠন আনসার আল ইসলামও নিষ্ক্রিয়। ওই হামলার পর সে অর্থে জঙ্গিরা আর কোনো হামলা চালাতে পারেনি। পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একের পর এক অভিযান চালিয়ে গেছে।

মাঠে তৎপরতা না থাকলেও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো অনলাইনে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা, ট্রেনিং ম্যাটেরিয়ালস তৈরি ও প্রচার করা—সব কাজই এখন অনলাইনে।

মো. আসাদুজ্জামানের মতে, তরুণেরা এখন অনেক সচেতন। ফলে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো আগে যেভাবে দলে লোক ভেড়াতে পারছিল, সেভাবে আর পারছে না। এ ছাড়া সাইবার পুলিশ ২৪ ঘণ্টা ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় নজরদারি করছে। জঙ্গিরা এখন সাইবার স্পেসেও নিরাপদ নয়। অনলাইনে জঙ্গিবাদের প্রচার-প্রচারণাও এখন আর জোরালো নয়। তারা আর আগের মতো সাড়া পাচ্ছে না।

সিটিটিসির প্রধান আরও বলেন, দেশের ১২টি জেলায় সিটিটিসি সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ শীর্ষক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তারা দেশজুড়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। সিটিটিসি সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছে, জঙ্গিবাদের লক্ষণ কোনগুলো। এতে অভিভাবকেরা সচেতন হচ্ছেন। তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়াও দিচ্ছেন। এই কাজ সিটিটিসি অব্যাহত রাখবে।

জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা দাবি করলেও আনসার আল ইসলামের সামরিক বিভাগের প্রধান সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এখনো পলাতক। তিনি কোথায়, তাঁকে গ্রেপ্তারে সিটিটিসি কী করছে জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে কোন পদ্ধতিতে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে, সেটা তিনি কৌশলগত কারণে প্রকাশ করতে চান না।