বাংলাদেশ হাইকমিশনের ‘চাকরির খোঁজ’ পোর্টাল চালু নিয়ে ক্ষোভ মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানন
ছবি: ফেসবুক

মালয়েশিয়ায় ‘চাকরির খোঁজ’ নামে একটি অনলাইন জব পোর্টাল চালু করেছে সেখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশন। এই ঘটনায় হতবাক হয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানন। তাঁর ভাষ্য, এই পোর্টাল চালুর বিষয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়কে আগে জানানো হয়নি। এদিকে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, নথিপত্রহীন বাংলাদেশিদের বৈধতা দিতে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করার জন্যই এই পোর্টাল চালু করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার দ্য স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, ৮ এপ্রিল ‘চাকরির খোঁজ’ পোর্টালটির উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদের সহায়তা, তথা মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশিদের সহায়তায় এই পোর্টালটি চালু করা হয় বলে বলা হচ্ছে।

পোর্টালটি চালুর খবরে একটি বিবৃতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানন। গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের ভূমিকা ও দায়িত্বের বিরুদ্ধে যায়, হাইকমিশনের এমন ধরনের পদক্ষেপ অযৌক্তিক। কর্মসংস্থান পরিষেবার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকার তার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি জাতীয় কর্মসংস্থান পোর্টাল তৈরি করেছে। যেটি বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়।

এম সারাভানন বলেছেন, এই পোর্টাল চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাঁর মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেনি। এই পোর্টাল চালু করে বাংলাদেশ হাইকমিশন দায়িত্বহীন কাজ করেছে।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেছেন, পোর্টালটি চালুর বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। কারণ, এই বিষয়টি তাঁর দেশের জনগণ, বিশেষ করে স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, নথিপত্রহীন বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধতা দিতে এই পোর্টাল মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে।

গোলাম সারওয়ার বলেছেন, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় থাকা নথিহীন বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধকরণে সহায়তার জন্য পোর্টালটি চালু করা হয়েছে। এই পোর্টাল মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত ‘রিক্যালিবারেশন’ কর্মসূচিকে সহায়তা করবে।

গোলাম সারওয়ার আরও বলেন, হাইকমিশন শুধু এই পোর্টাল চালু করেছে মালয়েশিয়ায় চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তার জন্য। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন বিভাগের সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন বৈঠকে যেভাবেই হোক ‘রিক্যালিবারেশন’ কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।