বাংলাদেশকে দ্রুত টিকা দিতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ: হাইকমিশনার

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিক্রম দোরাইস্বামী
ছবি: রাহীদ এজাজ

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশকে দ্রুত সময়ে টিকা দিতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে অনুষ্ঠিত দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দোরাইস্বামী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী সরকার তিন কোটি টিকা কিনছে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে। বেক্সিমকো এই টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। গতকাল সোমবার এই টিকার প্রথম চালান দেশে এসেছে। প্রথম চালানে এসেছে ৫০ লাখ টিকা। এভাবে আরও পাঁচটি চালান আসার কথা। তার আগে গত বৃহস্পতিবার ভারতের উপহার হিসেবে দেশে ২০ লাখ টিকা এসেছে।

দোরাইস্বামী বলেন, ‘ভারত দ্রুত সময়ে বাংলাদেশকে টিকা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোকে আমরা যত দ্রুত সম্ভব টিকা সরবরাহ করতে চাই।’

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত শুধু একা করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে না, যদি না বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানসহ নিকট প্রতিবেশী দেশগুলোরও ক্ষমতা না বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান যেমনটা বলেছেন, হয় সবাইকে এটা প্রতিরোধ করতে হবে, না হয় কেউ না।

ভারতে উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশে পাঠানো হবে কি না জানতে চাইলে দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ভারত বায়োটেকের টিকার ট্রায়াল চালাতে চাই। এ জন্য বাংলাদেশের সম্মতির অপেক্ষায় আছি। এরপর তথ্য বিশ্লেষণ করে অনুমতি পাওয়ার বিষয় আছে। আপনারা আমাদের কাছে যা চান, আমরা যেকোনো কিছু বাংলাদেশে করতে প্রস্তুত আছি।’

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান
রাহীদ এজাজ

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশকে একসঙ্গে উন্নতি করতে হবে। মহামারির এই সংকটেও প্রতিবেশীর সঙ্গে যতটা সম্ভব নিবিড়ভাবে এই সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট আছে ভারত। আর এই নিকট প্রতিবেশীর মধ্যে বাংলাদেশ বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ প্রথম দেশ, যেখানে ভারত সরকার নিজস্ব তহবিলে কেনা টিকা পাঠিয়েছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও টিকা সরবরাহ করছে।

সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় ৭২তম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সকাল নয়টায় বারিধারার ভারতীয় চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর ভারতের জাতীয় সংগীত কণ্ঠে ধরেন ভারতীয় হাইকমিশনের কূটনীতিক, কর্মকর্তাসহ আগত ভারতীয় নাগরিকেরা।

বিক্রম দোরাইস্বামী প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন। একই সঙ্গে করোনার মধ্যেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

চ্যান্সেরি ভবন প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।