বাংলাদেশে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহারের তদন্তে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে পেগাসাস সফটওয়্যার (স্পাইওয়্যারের) ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তায় উদ্ভূত হুমকি অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয়তা কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল দেন।  

রুলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিধিমালা অনুসারে পেগাসাস সফটওয়্যার (স্পাইওয়্যারের) ব্যবহারে ডিজিটাল নিরাপত্তায় উদ্ভূত হুমকি অনুসন্ধান করতে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলভিত্তিক গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এনএসও গ্রুপ’ আলোচিত স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’–এর উদ্ভাবক। এনএসও গ্রুপ হলো ইসরায়েলের তেল আবিবভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্পাইওয়্যার নির্মাতাদের অন্যতম তারা। তাদের পেগাসাস স্পাইওয়্যার এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে সেটা সহজেই আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।

বাংলাদেশে ওই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তায় সৃষ্ট হুমকি অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মুজাহিদুল ইসলামসহ সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবী গত ১৪ নভেম্বর রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আহমেদ আবদুল্লাহ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিধিমালা অনুসারে ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন বিষয় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি তদন্ত করতে পারবে। দেশি গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এসেছে পেগাসাস সফটওয়্যারে আক্রান্ত ৪৫টি এলাকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ বিষয়ে ৫ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যে কারণে রিটটি করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসচিব এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’