সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত আরও ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছিলেন অনেক শ্রমিক
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বি এম কনটেইনার ডিপোয় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

পরিচয় শনাক্তের পর আজ রাতেই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, নতুনভাবে শনাক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শ্রমিক। তাঁদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত ৪ জুন রাতে বি এম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। সর্বশেষ গতকাল বুধবার ডিপো থেকে একজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। আগুনে আহত হন আরও দেড় শতাধিক। তাঁদের মধ্যে সাতজন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অগ্নিকাণ্ডের পর ৯ জুন পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে। ওই দিন পর্যন্ত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম ১৯টি মরদেহ ও ৪৩ স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে। ওই নমুনা যাচাইয়ের পর আজ আটজনের পরিচয় সীতাকুণ্ড থানা–পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।

নতুন শনাক্ত হওয়া আটজনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আরও ১৪টি মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পর্যায়ক্রমে তাঁদেরও শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ–সহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বজনেরা অনেকে চলে এসেছেন। রাতেই লাশ দিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের পর উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে ২৯টির পরিচয় পাওয়া যায়। ওই মরদেহগুলো তখন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

এদিকে দুর্ঘটনার পর গঠন করা বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাসায়নিকের কারণে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিটি। এ ছাড়া এই ঘটনায় বি এম ডিপো কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি বিভিন্ন সংস্থারও দায় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।