বিআরটিএর প্রতিবাদ

প্রথম আলো পত্রিকায় গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মৃত্যু ২১ হাজার’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্ধৃতি দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে, তা অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত। প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, সব সড়ক দুর্ঘটনা মামলা আকারে পুলিশের রেকর্ডে লিপিবদ্ধ হয় না, এ কথা ঠিক। কিন্তু পুলিশ বিভাগের যে তথ্য তার একটি দালিলিক ভিত্তি রয়েছে, যা থেকে ধারণা করা যায় বিগত বছরগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। উক্ত তথ্য অনুসারে ২০০৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮৬৯ এবং নিহতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৪৯ জন। সেখানে ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭ জন এবং নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭ জন। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড ব্যাংক প্রকাশিত ‘রোড ট্রাফিক অ্যাকসিডেন্টস্ ডেথ রেট বাই কান্ট্রি’ প্রতিবেদনে পৃথিবীর ১৯২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৯০তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় কম।

বিআরটিএর প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল ও বিআরটিএসহ আরও কয়েকটি সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। অনুমিত হিসাবের ওপর ভিত্তি করে ডব্লিউএইচওর এ ধরনের উদ্বেগজনক ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য জনমনে সংশয় এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে যেসব সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন কাজ করছে, তাদের কর্মস্পৃহাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
প্রথম আলোর বক্তব্য: বিশ্ব নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য প্রথম আলোর গতকালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল এ তথ্যের বিষয়ে জানতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জেনেভায় সংস্থার সদর দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। পরে এ ব্যাপারে সদর দপ্তরে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু জবাব পাওয়া যায়নি।